মধুময় জীবনে উড়িয়েছি মাল্টিকালার অনেক ঘুড়ি হাতের দখলে বিরহের মালা গেঁথে
বাজিয়েছি সোনালী রঙের মোহন বাঁশি ভরদুপুরে ফসলি মাঠের ধারে তৃষ্ণার জলে
মহাসংগীতের তালে
মহামন্ত্রবাণীর বাজে
জীবনচ্ছবি শূন্য খাতায় এঁকেছি বহুবার রাত্রি জেগে মায়ার ফাঁদে বিষণ্ণ মনে রিক্তভুজে
দুর্যোগের ভূমিতে নিঃসঙ্গের নিঃশব্দতার ফলন ফলিয়েছি একাকী মলিন অদৃশ্যর ঘাটে
কৈশোরের কূজনে
অমলিন রঙ্গমঞ্চে
ছলনার নৌকায় মাঝি বিহীন পাল তুলেছি কূলহীন স্রোতের মাঝে অক্লিষ্ট অস্ফুট কল্পনায়
মর্মের বন্দরে কলাপাতার ছাউনিতে কচুরিপানার ডগা দিয়ে গরু বানিয়েছি ব্যাকুল আবেগে
শ্যামল মহাবিশ্বের টানে
নান্দনিক মহাকালের তানে
উৎক্ষিপ্ত তরঙ্গলীলায় শস্যরিক্ত মধ্যাহ্নে স্পর্শের স্নিগ্ধ গন্ধে নির্জন বৃষ্টিধারায় দূর কান্তারে
যৌবনের লাঙল চালিয়েছি পাড়াগাঁয়ের কিশোরীর উদার জলা ভূমিতে আধখোলা সমুদ্রে
চঞ্চলতার অভিসারে
বাহুর বাঁধনে হৃদয়রাজে
দখিনাপবনে জানালার ধারে বাসন্তীরাঙা আঁচল উড়ে কম্পিত ছায়ার লীনে আরক্ত আভায়
টেপাটেপি টানাটানির অঙ্গরাগে লাজুক বনিতার ফরফর শব্দ ভেসে আসে বারান্দার কার্নিশ থেকে
প্রদীপ জ্বলে
আন্ধার ঘরে মনের সুখে
শীর্ণম্লানে জীর্ণ ভগ্ন মন্দিরে ঘণ্টার ধ্বনি দিয়েছি উল্কা ভরে অঞ্জলির ডালায় পুষ্পের তোড়া দিয়ে
ধূলির মাঠে শিশিরের ঘাসে বসে শুয়ে রাত কাটিয়েছি মহাজন্মের লগ্ন থেকে বিলাসিতার চাদরে
মহামানবের তরে
উদয়শিখরে সুর জাগে
মহাকশের পাড়ে সৌদামিনীর সাথে দেহের চিত্তপুরে শুকনো নদীর চারণ ক্ষেত্রে প্রলয়ের দানব
জাগে অন্তহীন অঞ্চল থেকে সেকালের নিখিল ভুবনে নাইওর নিতে আমায় আসবে তেরে বুকের পাঁজরে।