কত কাল ধরে দেখি না তোমার সুশীতল মুখ
কত দিন ধরে দখিনা তোমার মৃদু হাসি
কত দিন হলো হয় না দেখা বারান্দার কার্নিশে
কত রাত দেখি না উঠোনের কর্ণারে  
কত দিন দেখি না চিরচেনা সেই কবরস্থান গলির মোড়ে
কত দিন ধরে দেখি না স্নিগ্ধ মায়াভরা চোখ
কত দিন দেখি না বৃষ্টি ভেজা উষ্ণ আঁচল
কত দিন ধরে হয়না কথা তোমার সনে পূর্ণিমার রাত্তিরে
সেই কবে কথা হয়ে ছিল মনে নেই
তবে মনে আছে
তুমি তোমার বাবার সাথে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে
যাচ্ছিলে তোমাদের গ্রামের বাড়ি
ঝির ঝির শ্রাবণের বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো
তোমার চুলের প্রান্ত সীমানা দিয়ে
ওই মুহূর্তে ফোন দিয়ে ছিলাম
আমি গভীর ভাবনার আকাশ নিয়ে
কত কথা বলে ছিলে হৃদয়ের চৌকাঠ থেকে
বেশ কয়েক দিন যাবত মনটা তোমার স্মৃতি গুলি নিয়ে খেলা করচ্ছে
আজ সাহস করে তোমায় নিয়ে লিখতে বসে গেলাম
জানি না তুমি কোথায় আছো কেমন আছো
তবে তোমাদের বাড়ির আঙিনা থেকে বেশ কয়েক বার ফিরে এসেছি
অনেক বেদনার পাহাড় নিয়ে
ভেবে ছিলাম তোমায় দেখতে পাবো
কিন্তু দেখা হয়নি !
তবে তুমি প্রতিদিন যেই রাস্তা দিয়ে ইউনিভার্সিটিতে যেতে
আমি সেই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকি
রোজ সকালে ও বিকেলে ...
তোমার কথা আমায় ব্যাপক ভাবে কাঁদায়
শুধু দেখবো বলে তোমার সেই কালো চোখের পাপড়ি গুলি
কত দিন হয়ে গেলো দেখি না তোমার মায়াবতী মুখমণ্ডল।