ইচ্ছে করে তোর
সপ্তপদী সুমন্ত - ঘুমন্ত বিজন কৈশোরের উদ্যানে অগোচরে ঘুরে আসি
ইচ্ছে জাগে তোর স্মৃতির জাল ছিঁড়ে
উচ্ছল বিলম্বিত রূপালি শহরের ঘাটে ঘর বাঁধি
ইচ্ছে করে তোর বর্ষার দেয়ালে
নিবিড় প্রেমের সিম্ফনির আলপনার রঙ তুলির জলছবি আঁকি
ইচ্ছে জাগে তোর প্রসন্ন গোধূলি বেলায় প্রাণবন্ত যৌবন নদীটিকে
ভাসিয়ে দেই নিপুণ নিশ্চুপ শূন্যতার ভাস্করে
ইচ্ছে আছে তোকে নিয়ে দীর্ঘশ্বাসের সীলমোহর মেরে
হৃদস্পন্দনের প্রান্তর পেরিয়ে বালিয়াড়িতে সংসার সাজাবো
ইচ্ছে করে তোর মনের কম্পমান ক্ষ্যাপাটে
চরাচরে,
দোলাচলে,
ভোরের ক্ষিপ্র শিশির ভেজা পাখি হতে
ইচ্ছে করে তোর অরণ্যের ভগ্নাংশে
আলিঙ্গনের নৃত্যের পুষ্পিত প্রণয় – বিলাসের এক পশলা চিমটি কাটি
ইচ্ছে করে তোর ঘ্রাণময় কাঁপুনি – ঝাঁকুনি
এলোমেলো ছায়াচ্ছন্ন দৃশ্যান্তর চিকুরে
নিষিদ্ধ মন্ত্রের পায়চারির ফটোগ্রাফ করি
ইচ্ছে করে তোর সজীবতার লাল নীল আকাশের নোনা ঘাটে
নোঙর ফেলি নির্ভুল রঞ্জিত একরাশ গোলকধাঁধার মুগ্ধাবেশে
ইচ্ছে করে তোর নিষ্প্রভ ফ্যাকাশে
স্পর্শ কাঁটাময় অমাবস্যার আপাদমস্তক সমুন্নত অনশনে
অনিমেষে সুতীক্ষ্ণ নিঃশ্বাস ফেলতে  
ইচ্ছে করে তোর,
স্বপ্নঝিলিক স্বর্ণস্পর্শাতীত ডুবুরী লোফালুফি চোখের চাহনিতে
ফাগুনের বৃষ্টি নামাই টালমাটাল হয়ে
ইচ্ছে জাগে তোর,
আগ্রাসী- মহাগ্রাসী ছুঁচোলো সন্ধিগ্ধ পাঁজরের মঞ্চে
প্রজাপতির করতলে,
বিরামহীন সুরের ঝংকারের রিনিঝিনি তুলি ভালোবাসার বাহুডোরে।