সুপ্রসন্ন মনে সুগম্ভীর ভাবনায় নীলের খোলা উদার জমিনে
কালের প্রতীক হয়ে হিমাচলের পারাপারে বসে আছি অমৃত
মুক্তির আশায়
উচ্ছ্বসিত প্রত্যাশায়
বনানীর মাঠে কৃষ্ণচূড়ার ডালে সুপ্তি মেঘের আড়ালে কঙ্কালের
ঝংকারে দূর্বা ঘাসের মৌনতায় বাঁশির সুরধ্বনি বেজে উঠে দীপ্ত
পিঞ্জরে শিঞ্জনের টানে
শতাব্দীর বক্ষ চিরে
উল্কার ন্যায় ছুটে আসে প্রাণবেগে প্রাচীন কারাগারে বিলুপ্ত নগরীর
বাঁশঝাড়ের ঝোপঝাড়ে কলাগাছের চামড়ার কুঁড়ে ঘরে যুগের স্পন্দনে
ভাঙা নদীর পাড়ে
যাত্রা ধ্বনির তালে
আলোকবর্তীকার পথের মোহে রাঙা অন্ত বেলা কাটবে উপনীত হেলায়
সংশয়ের অধুনা ধোঁয়া ছড়াবে সর্বাঙ্গে পুস্পশূন্য আঁখিজলে বেদনার
কোলাহলে আশ্বিনের দীর্ঘশ্বাসে
সন্ধ্যাকাশের ক্লান্ত অস্তরাগে
আলিঙ্গনের আলিম্পন উঠে হৃদির চুম্বনের ফলে নিঃশব্দ আহ্বানে আয়োজনের
প্রয়োজনে বিহঙ্গম ডাকে বিটপীর উষ্ণ চূড়ায় হেলে দোলে আরাম আয়েশ করে
ভাস্করের প্রদীপ্ত মহিমায়
রংচ্ছটার বর্ণিল  ছায়ায়
অবসানের গান সুরের লহরী বাজিয়ে আসছে তেরে আমার দিকে ভ্রান্তদিশা ভুলে
কঠোর সঞ্চারে পাষাণের বঞ্চনায় বিধাতার বাসনা পূর্ণ করার লক্ষ্যে প্রাণময় শহরে
বিষাদের পুষিতে ঘুচিবে
বিসর্জনের পুঞ্জীভূত বিলীনে
আলস্যে মঙ্গলে বিলাসের প্রহরে উপেক্ষার বিষবাণে শিথির শোকানলে ছলনায়
ছিন্ন বীণে মরণময় চীৎকার ঢেলে দেয় খাঁচার ভিতরে সংকীর্ণ মূঢ়তার মনোরথের টানে।