অন্তর্জ্বালায় পুড়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিভীষিকাময় হয়ে
বন্ধ হয়ে যায়
হীনম্মন্যতায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে
আঁচড়ে ধরে বেঁচে আছি
ত্যক্ত বৈদগ্ধ্যের জাজ্বল্যমান নির্দ্বন্দ্ব নির্দ্বিধায়
বক্ষ্যমাণ অম্বরের নীচে
সন্ন্যাসী হয়ে প্রত্যুষে ছুটে চলি
তুরঙ্গমের ন্যায় দ্যূতক্রিড়ার তীক্ষ্ণ ত্বরিত
ব্যপদেশের দিকে
ক্ষুন্নিবৃত্তি অনূর্ধ্ব কৃচ্ছ্র উত্ত্যক্ত অগ্ন্যুতপাতের
অগ্ন্যাশয় অচিন্ত্য অনিন্দ্য তদ্ব্যতীত জ্যোতিষ্কর টীকাটিপ্পনী
পেরিয়ে দ্বেষ দ্বৈত দ্ব্যর্থ শ্যেন শ্ল্যেমায় পৌঁছব
সৌহার্দ্য থাকবে
স্বাচ্ছন্দ্য বোধের স্বাতন্ত্র্য উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস উচ্চৈঃ স্বরের
উৎকর্ষতায় পূর্ণ পুঙ্খানুপুঙ্খ মরীচিকার উন্মীলিত গড্ডলিকায়
মৌন দৈন্য সখ্য সত্তা মহত্ত্ব সাধুতা সৌন্দর্যের অধীন
ফেলে পাড়ি জমাবো সায়াহ্নের পড়ন্ত ক্ষণে
শ্রদ্ধাঞ্জলির নীহারিকা নিয়ে
ক্ষীণজীবী র ম্রিয়মাণের অর্ঘ্য নিতে ইচ্ছুক না  
কোলাহল এলাকা ছেড়ে বহুদূরে পরজীবী হয়ে বটের মূলে
বাসর সাজতে চাই,
যথার্থ লক্ষ্য শ্বাপদ ন্যূন পঙক্তির
মালা পরিস্রাবণে কাঙ্ক্ষিত নিশীথ নিরিখে ত্র্যহস্পর্শের ছলে
জীবন নদীর স্রোতে হারিয়ে
বেহুলার ডিঙার ন্যায় ভেসে আঁধার জলে
ডুবে যেতে চাই অবলীলাক্রমে জীবন প্রদীপ শোকানলে
যাবে একাকী গভীর রজনী পাড়ি দিয়ে ভব নদীর কূলে ।