"নবদম্পতির গগনাম্বু লীলা"
             --শাহ্ নেওয়াজ
গোধূলি লগ্ন,প্রণয়ী ধ্যানমগ্ন নগ্ন গাত্র
অপলক নেত্র,চিত্ত-মত্ত হস্তে পত্নীর স্থির চিত্র।
নবোঢ়া ব্যস্ত বাড়িয়ে হস্ত,দেখিতে সূর্যাস্ত, পরিধেয় উপনেত্র;
অনিমন্ত্রিত ঝঞ্ঝানিল,তাড়াল নভঃ আনীল, মেঘজাল সর্বত্র।
অনিল কাঁপাল অন্ত্র,ঝেড়ে ফেলে তন্ত্র-মন্ত্র,ঝরাল পুষ্পপত্র;
যত্র বসি অত্র, ভাঙ্গলো কফির পাত্র।
প্রেয়সীর উড়াল বস্ত্র,কাঁচুলিহীন স্পষ্টত বক্ষের অস্ত্র;
দৃষ্ট ধৃতাস্ত্র, ভুলিয়া সব শাস্ত্র,তখনও নিরস্ত্র।
রামার খোলা চুল,লতিতে দুল, বাতাসে দোদুল,অনিন্দ্য মৃদুল;
গগনাম্বু করলো চুম্ব,জায়ার নিতম্ব বাজিল মাদল।
পাঁজাকোলা নিয়ে পতি, অনতি অগ্রগতি,অতঃপর শৃঙ্গে উঠি;
দিগন্তে উচিয়ে মুখ,বৃষ্টিস্নাত যত সুখ,লুটেপুটে দাঁড়িয়ে নীলকুঠি।
ভুলে সব ভ্রুকুটি,নবদম্পতি হেসে হয় কুটিকুটি, ছুটে চলে অদিতি।
শৃঙ্গে মাতামাতি,নিভিয়ে ধরার বাতি করে বস্ত্র অনাবৃতি।
অঙ্গনার উদ্দাম লাস্য,লজ্জা পায় নভস্য পতি দেখে কামাক্ষী নেত্র দুটি।
ঢোক গেলে চেপে টুটি, হাত ধরাধরি করে ছুটি, নাক টেনে খুনসুটি।
শ্রুত মেঘনাদ-করিয়া অট্টনাদ,পতির বুকে ঝাপ।
জাপটানো পতির বুক,লুকিয়ে মুখ, ঝেড়ে পাপ-তাপ।
স্বেদের গন্ধ,কামনায় চোখ বন্ধ,ঘ্রাণেন্দ্রিয় কূপ কাত।
চুম্বে রামার ঠোঁট, গলা-কাঁধ মেটাচ্ছি সাধ, সব লুটে নিল পতি ডাকাত।


(অনুপ্রাস শব্দালংকার ছন্দে রচিত)