পাপের তাড়না
       শাহ্ -নেওয়াজ
পাপের কালিমা লেপ্টে থাকা অশ্রু 'দু'চোখের গালিচা বেয়ে অঝোরে ঝরতেই থাকে।
১৪ তলা ফ্লাটের মস্তকে বসে এই নিকস কালো কৃষ্ণ পক্ষের রাতে একা আমি অপ্রস্তুত।
দূরের গলি মোড়ে  হঠাৎ-হঠাৎ করে জ্বলে ওঠা নিয়ন আলোর বাতিটায় আমার সৃষ্ট বিদঘুটে সাধর্ম্য পরিবেশটাকে যথেষ্ট ঘোলাটে করে তুলেছে।
যে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে,
এই শৃঙ্গের শৃঙ্খল ভেঙ্গে যে কোন সময় ঝাপ দিতে পারি ঝাপসা অন্ধকারে।
একা আমি অপ্রস্তুত।নিথর দেহখানি মোর পড়ে রবে সদ্য ঝরা পাপড়ির মত,
অপ্রস্তুত আনমনে পথিক আঁতকে উঠবে।
পথিকের গগনবিদারী চিৎকার  ইট-পাথরের এই শহরের দালান-বাড়িতে বার বার প্রতিধ্বনি  হয়ে ফিরে আসতে আসতে আমার দেহের মতো একসময় ফিকে হয়ে যাবে।
হয়তো ২/১ জন পথ যাত্রী ভ্যাপসা গন্ধের ভয়ে নাক চেপে ধরবে।
ঠিক ঐ সময় দেহের পাশের মরা কাঁঠাল গাছটায় একটা দাঁড় কাক ডেকে উঠবে।
হয়ত একটা জীবনের গল্প ফুরাবে,দেহ পরীক্ষা  হবে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে করে চিৎ -কাত,
হবে কি পাপের জবানিপাত?
হে বিধাতা,আমি রাতের পাখি,
অপ্রস্তুত এলোমেলো ভিজিয়ে আঁখি।
পাপ মোচনে নতুন মহা পাপের এ কি মহাযজ্ঞের ধ্যান ছবি মনে আঁকি।
হে পরমকরুনাময়,
মানুষ তোমার এক অনবদ্য সৃষ্টি,
সবার প্রতি রয়েছে তোমার  তীক্ষ্ণ  দৃষ্টি।
মার্জনা কর মোরে ধুয়ে মুছে সব পাপ তাপ,
অন্ধকারে দিতে চাওয়া ঝাপ,
কল্পনায় আনাও পাপ।
আরসের মালিক তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক,যতই করি পাপ জমা,
নিজ হাতে সৃষ্ট প্রত্যেক বান্দাকে তিনি অনেক ভালবাসেন,
                                    -ভালবাসেন করিতে ক্ষমা।
যে অন্তর ভিজে ওঠে পাপ মুক্তির তাড়নায়।
কেন পাবেনা ক্ষমা?
চাওয়ার মত চেয়ে দেখ বিধাতার দরিয়ায়।