মা
প্রীতিহারা এ পৃথিবীর ছাদে,
মা গো তোমার শীতল কোলে—
লক্ষ জোছনা ঝরে যেন চাঁদে!
সকল আঁধার লুটায় অতলে।
কোথাও খুঁজে পাবো নাকো
এমন শান্তির নিবিড় অরণ্য,
তোমার তুলনা তুমিই মা গো
সর্বংসহা মাগো, তুমি অনন্য।
নয়মাস রেখে গর্ভ রতনে,
নীরবে সয়েছ কত যাতনা,
সন্তানকে রাখতে যতনে
ছেড়েছ কত সুখ ও বাসনা।
মা গো তোমার হাত ধরে,
পৃথিবীতে শুরু পথ চলা।
মায়াবী মুখের তালের সুরে,
আধো আধো বোলে কথা বলা।
মা গো তোমার উষ্ণতা প্রাণে
কপোলে রাঙ্গাতে কোমল চুম,
ঘুম পাড়ানীর মধুর গানে
দুচোখে নামতো গভীর ঘুম।
মা গো তোমার হাতেই
আমার শিক্ষার পাঠ শুরু,
অ আ দিয়ে চিনেছি অক্ষর
তুমিই প্রথম শিক্ষাগুরু।
কঠিন কোমল ছায়াডোরে
শিখিয়েছ সব রীতি নীতি
অটল সাধনে রেখেছ মোরে
ছুঁতে স্বপনের অদিতি ।
অসুস্থ হলে থেকেছ কাছে
রয়েছ জেগে সারারাত,
দুহাত তুলে প্রভুর কাছে
প্রাণ খুলে করেছ মোনাজাত।
দেয়া নেয়ার এ পৃথিবীতে
স্বার্থ টুটলে কেউ কারও নয়,
তোমার দোয়া সব তিথিতে
পাওয়ার আশায় নয় কিছু নয়।
রাশি রাশি যত হীরে পান্না
থাকুক গহীন গহবর তলে
মাগো শুধু আমার জান্নাহ
তোমার কোমল পদতলে।।