কবির কবিতা,
সে তো এখন আর -
হৃদয়ের অন্তরালে করেনা সারাক্ষণ বিচরণ ।
তোমার প্রতিচ্ছবি-আজও করে যায়,
আমার অমর প্রেম হৃদয়ান্তরকে হরণ ।
কি বা আছে !
ঐ নিরস কারুকাময় রূপে রচিত অঙ্গে ?
তবুও ,অন্তর বেধেছে বাঁধন,
আমার প্রেম পিয়াসী আত্মার সঙ্গে ।
পারিনা,প্রেমহীন একা পথে হেটে যেতে,
সীমাহীন বিচিত্র সব বন্ধুর পথ পেরিয়ে,
যে টুকু পেয়ে যাই,কেড়ে নিতে চায়-
সর্বস্ব মোর চক্ষুদ্বয়,নানা রঙ্গে ফুসলিয়ে ।
অজস্র সারি সারি কত যে ঠংয়ে লেখা
কবির কবিতার পংতিমালা,
এখন তো আর মনেতে ধরায় না জালা ।
ভালোলাগে,
পাহাড়ি ঝর্ণা স্রোতের নেয়-কবির কবিতা,
মনে হয়,এখনও খুঁজে পাই-
পুরব ধরণীতে মানবের মরমী মানবতা ।
দেখেছি সে দিন,
একরাশি ব্যর্থ প্রেম নিরাশায় উদাসী,
ঝরে যেতে জগত হতে পরবাসী ।
ভীষণ নিঃসঙ্গতায় কাটিয়ে সময়
কষ্ট জেনেও-কখনো নেইনি,
সেই বন্ধু বর পড়শির খবর ।
হঠাৎ সেদিন পথের ফুটপাতে,
চমকিত ঠংঙ্গে দৃষ্টি দ্রোহে হলে তুমি বন্দী,
তৎক্ষণাৎ মনান্তরে করেছি পণ,
আর নয়-করবো আমি চিরকালের সন্ধি ।
রেখেছি তুলে,বুকের ভেতর সিন্দুক কুলে
কত না কবির মহান কীর্তি ,
আমার সৃষ্টিতে-তাই রেখে যেতে চাই,
অনন্য প্রেমের দারুণ সব সৃষ্টি ।
একা মনে তাকে নিয়ে ভাবি যখন,
ঐ কালো চোখ দুটি,
কি যেন বলে মিটি মিটি সুরে সুরে অন্তরে-
'পাও যদি দেখা,আপন ভুবন ভরা স্বপ্ন হাটে,
রাখিও ধরে এই চেনা মুখ হৃদয় মনি কোঠে।'
গোলাপ ফোটাতে সুভাস ছড়াতে
বসন্ত দিবসে চায় যে এই মন,
পাইলে তাহারে সর্বস্ব দিয়ে করিব আপন ।
কবির কবিতায় আছে লেখা এই অন্তর নীড়ে,
ফিরায়ে দিলে বাধিবে যে ঘর,
নিজ হাতে গড়া,আধার ঘরে মাটির বাসর ।