সন্ধ্যা শেষে রাখাল বালক
আলতো পায়ে বাঁশির রাগে
সিক্ত ধুলায় পথের বাঁকে
যায় বিছিয়ে রূপের লহর ।
                 ও হে কালবৈশেখী ঝড়।


হাওয়া শীতল শ্রাবণ জলে
পালের ঐ উদ্বেলিত নায়ের বহর
পাবে নাকো কোথাও খুঁজে,
শহর কিংবা নগর ।
                 ও হে কালবৈশেখী ঝড়।


রাঙ্গা ঠোটে মিষ্টি হাসি,
প্রাণ জুড়ানো ঘুঙ্গুর জোড়ায়
রিনিক ঝিনিক ছন্দ রাশি
শিশির ভেজা দূর্বা,সবুজ ঘাসে,
যায় ছুটে যায়,
গায়ের বধূ নগ্ন পায়ে,
ঘোমটা মাথায় পুকুর ঘাটে ।
                 ও হে কালবৈশেখী ঝড়।


কাজল আঁকা নাজুক চোখে,
ঘোমটা টানা রাখাল বধূ
আধার ঘেরা ভোর প্রভাতে,
যায় একে যায় আলতো পায়ে,
কত কি যে রূপের ছবি ।
                 ও হে কালবৈশেখী ঝড়।


আকাশ জুড়ে তারার মেলা,
পূর্ণিমার-ই উদাস হাওয়া,
জোনাক জলা গুচ্ছ ছায়ায়,
বন ওপাড়ে দাপিয়ে মাতায়,
খেলছে খেলা বনের রূপ ভবানী,
কত কি যে ব্যাকুল লয়ে ।
                 ও হে কালবৈশেখী  ঝড়।


মেঘ বালিকা চাঁদের বুকে,
কৃষ্ণ ছায়ে ভাসিয়ে ভেলা
গাছের শাখে ঝিঝির মেলা,
কাব্য সুরে গায় যে ওরা
মাতম কণ্ঠে মাতিয়ে পালা ।
                 ও হে কালবৈশেখী ঝড়।


সিঁথির কালো বেণীর বাঁকে,
টায়রা শোভায় কিষান বধূ,
উদাস হাওয়া দিনের প্রহর
ঝিনুক মালায় রাঙ্গিয়ে দেহ,
যায় ছুটে রে নগ্ন পায়ে ঐযে নূপুর,
সাগর জলে ঢেউয়ের বাঁকে,
লোনা জলের পরশ নিয়ে
সুখযাপনে চিত্তভবে সৃজন করে,
                 ও হে কালবৈশেখী ঝড়।


রবির আলোয় সিক্ত হয়ে
লুকিয়ে অঙ্গ বৃক্ষ ছায়ে,
নব রূপে রাঙ্গায়ে ভুবন,
যায় ফিরে যায় গায়ের মেয়ে,
আপন ভবের নীড়বহতায় ।
                 ও হে কালবৈশেখী ঝড়।


গহিন বনে তিমির আলোয়,
দুঃখ ভুলে আওয়াজ তুলে,
দাপিয়ে বেড়ায় বন্য প্রাণী
নাম না জানা,
কত কি যে ছন্দ ধ্বনি ।
                 ও হে কালবৈশাখী ঝড়।


হাওড় বাওর বিলের খালে
বর্ষা নীলে,পাতায় ভরা পদ্ম দোলে,
গায়ের নারীর পানসী নায়ে,
ভরিয়ে তোলে কি আনন্দে কলরবে
                 ও হে কালবৈশেখী ঝড়।