মনিষা
তুমি তো বেশ বদলে গেছো ।
সাঁঝের প্রদীপ জ্বালিয়ে সাজে,
চুপটি করে সাঁঝ বেলাতে-
আমায় ডাকো না ।
মল্লিকার ঐ সুবাস মাখা কুঞ্জবনে,
কত যে দিন-
রাঙ্গা হাতে কাঁকন পাড়ায় রিনিক ঝিনিক,
নয়ন জুড়ে অশ্রু ঝরাও না ।
তীর ভাঙ্গা ঐ শূন্য নদে জলের ধারায়,
চরণ চুমে গোধুল বেলায়
সোহাগ মাখা আদর নিয়ে,
আমায় লয়ে, নাও যে ভাসাও না ।
চোর কাটা ঐ পুষ্প শাঁখে,
শিশির ভেজা ছিন্ন পাতা মখমলে,
শিশির মাখা হাতটি ধরে ছুঁয়েও দেখো না ।
খোপার তরে
গোলাপ জবার ঝুমকো দো দুল,
উথাল পাতাল সাজ ধরে তো
মিছের ছলে চোখের ভাষায়,
এ ঘর ও ঘর-
খোজ করে যে কিছুই বোঝাও না ।


মনীষা,
আজ কতটা দিন,
মেঘ খেলা ঐ সোনারোদের শিওরে এসে,
যুগল হাতে মেহেদী রেখায় লিখন একে,
আবেগঘন ঘর বাধার স্বপ্ন আঁকো না ।
সৃজন দিনের অরুণবাঁশির নৃত্যচারণ,
হঠাৎ কেন থামিয়ে দিলে,
দুটি মনের মিষ্টি প্রেমের শ্রুতি আলাপন ?
বাধ সেধেছে কোন সে শাসন ?
আমায় বলোনা ।
প্রাণ যদি পায় মোহন প্রেমের হৃদয় ভুবন,
হয় যদি হয় তোমার প্রেমে সুরের জীবন,
হোক না তাতে শ্রেষ্ঠ যে জন !
জানবো তখন,
তোমার আমার এটাই ছিল-
ভাগ্যদাতার অমোঘ লিখন ।
নিত্য চেনা আড্ডাজগৎ আসর ছেড়ে,
ঘূর্ণি নাচে আকাশ বাতাস সাগর ছেড়ে
পার হবো যে অচিন ভবে তেপান্তরে,
সাজবে যে প্রাণ তোমার আমার অমোঘ প্রেম,
                                        প্রেম তো জানে না ।