স্বাধীনতা,
তুমি বলে ছিলে-
এ বাংলার মুখে ফোটাবে সুখ শান্তি ও হাসির সম্ভার ।
ফিরিয়ে দেবে হৃত সেই সব অধিকার ।
বলেছিলে আরো
চিরতরে নিঃশেষ হবে,শত্রুর বিরুদ্ধে লড়বার ।
নৈরাশ্য ভরা জীবন শেষে পাব প্রাণেতে নিস্তার ।
স্বাধীনতা-
তোমার মুক্তি স্বপ্ন আশায়,
রণসাজে সাজায়েছো যে দিন এ মাটিকে,
রণ ঝন-ঝনানিতে সম্মিলিত যুদ্ধের রণ উৎসব,
কঠিন সংকল্প সাধনায় দেশ মাতৃকায়,
তরুণ জনতারা ন’মাসে করেছে তা সম্ভব ।
তুমি এ বাংলার
আপামর মেহনতি মানুষের চির অম্লান গৌরব ।
স্বাধীনতা,
তোমাকে সাথে পাবার রঙ্গিন স্বপ্ন আশায়,
দেহ টগবগ  রক্ত প্রাণে দেশ তরুণেরা
করেছে রক্ষা প্রাণেতে মা’য়ের ভাষা ও কৃষ্টি,
এমন করেই হয়তো  আরো কত না হবে -
নব ইতিহাস সৃষ্টি ।
উদয় তোমার সূর্য রঙ্গিন অতীব সত্য,
অথচ ক্রমশ লাল সবুজে কতনা-
জ্বলে পুড়ে মরে উদিত উজ্জ্বল নক্ষত্র ।
তুমি শিখায়েছো,
রণ অভিযানে অধিকার আদায়ে দৃপ্ত পায়ে প্রতিজ্ঞা,
উত্তাপ আপোষ সংলাপে প্রতিষ্ঠা করিতে শত্রুকে অবজ্ঞা ।
স্বাধীনতা,
কি করে তুমি ভুলে গেলে,সেই সব অঙ্গিকার বচন ?
কেনই বা তবে কেড়ে নিলে
লক্ষ প্রাণে রক্ত মোহনায় এতশত প্রাণ হরণ ?
তুমি প্রতারক,প্রবঞ্চক, খুনি, মীর জাফরের ছদ্মবেশে
পবিত্র সত্ত্বার স্বদেশ ভূমিতে,
রক্ত মিছিলে একে চলেছো আজও
প্রলয়ঙ্করী কত শত সব ভয়ংকর মর্মান্তিক চিত্র ।
তুমি অপবিত্র নষ্ট-ভ্রষ্ট এ বাংলায়, মানব সত্তার
মহামারী যাতনা জীবন কষ্ট ।
নও তুমি স্ব-স্বত্বায় ভাবনাতে অভীষ্ট ।
হিংস্র অন্যায়কে নিয়েছ করে স্ব-মিত্র ।
স্বাধীনতা,
তোমার সাজানো গোছানো চোরাবালি ফাঁদেতে,
যতই করে যাও ছলনার মধুমন্ত্রে অলিক তন্ত্র,
জেনে নাও তব-
আজ হতে মোরা হব,
শান্তি সুখের উৎসব মোহন রেখায়,
অন্ত প্রহরীর মুল মন্ত্র দীক্ষায় অতন্দ্র ।