হৃদয়ের মাঝে
অনিশ্চিত কতশত আবেগ ভিড় করে আছে ।
দুয়ার খুলে দিলেও
ফিরে আসে বারে বারে পরান দরিয়ার কাছে ।
কি যেন বলতে চায়
কিংবদন্তী নায়কের বেসে যোদ্ধাতং পুরুষের মত ।
পারেনা বলতে বাঁধাপায় পদে পদে কতশত ।
এমনি করে বেস কিছুটা সময় গেলে কেটে,
অন্তরের ভেতর স্মৃতিটা গুমরে কেঁদে উঠে ।
মা হারানো যন্ত্রণা মনে দেয় বড় পিড়া,
মনে হলে
হিংস্রতায় কেঁপে উঠে দেহময় শিরা উপশিরা ।
হায়নার দল যে রাতে ছিনিয়ে নিল  ভাইটিকে,
বাঁধা দিতে গিয়ে,বিঁধেছিল গুলি ভাবীর মস্তকে ।
সব হারায়ে কেঁদেছি যে কত মোরা দুই বাপবেটা
একযুগ পরেও
ভুলতে পারিনি ভাই হারানো কালোরাত্রির চিহ্ন টা ।
দেখেছি আমি আড়াল থেকে পিতার চোখে মুখে,
চেয়েছি ভুলতে
শোকের ছায়াটুকু ছবিটাকে বুকে চেপে ধরে রেখে ।
হঠাৎ একদিন
ঝড়ের দাপটে ছবিটা পড়লো বুক থেকে ছিটকে খসে,
যন্ত্রদানবের চাকায় পিষ্ট হয়ে,
রক্তস্রোতে কালো রাজপথ গেল লালে লালে ভেসে ।
পিচঢালা রাজপথ পিতার রক্তে হলো লালে রঞ্জিত ।
পৃথিবীর সভ্য মানুষ সকল,
এ দৃশ্য দেখে ভয়ে হলো শঙ্কিত শিহরিত ।
শুধু চেয়েছিল তারা মূর্তিরূপে নির্বাক দৃষ্টিতে,
অশ্রুশূন্য নয়ন জোড়া
ভেসে গেলো অবারিত অশ্রুধারায়  স্রোতে ।
পারেনি তো শোকযন্ত্রণা ভুলে সানাতে আঘাত,
ভেঙ্গে দিতে সভ্য নরপশুদের তীক্ষ্ণ বিষ দাঁত ।