সুবাস ছড়ানো শিউলি কামিনী ঝরে ঊষা লগনে,
কোকিলের স্বর থেমে যায় হায়, ঋতুর ক্রান্তি ক্ষণে।
নদীর জৌলুস হারিয়ে যায় ক্ষুব্ধ রবির তাপে,
হৃদয়ের মায়া মমতা শুকায় চাহিদার উত্তাপে।
ক্রন্দনরত সময় শুধু বিলাপ করে কয়,
কেন যে এমন হয়?


জীবিকার তাগিদে নিশাচর লোক আঁধার ভালোবেসে,
নিরীহ গণমানুষের বুকে বিভীষিকা নিয়ে আসে।
মর্গে মর্গে মৃতদেহ জমে, রাজপথে রক্ত,
অপরাধের গরলে আজ এ বাংলা সিক্ত।


পিচঢালা পথ রক্তের দাগে রক্তিম হয়ে যায়,
হাসি খুশি সুখ চাপা পড়ে আছে নব নব দুঃখের পায়।
সবুজ পৃথিবী ক্রমে ক্রমে আরো ধূসর হয়,
কেউ কি জানে? কেন আরো সবুজ নয়?
কে জানবে? সকলে তো আপন বৃত্তে তন্ময়।
কেন যে এমন হয়!


বিপন্ন বসতিতে দুর্যোগ হানা দেয় বারে বারে,
ক্রন্দনরোল পড়ে যায় সব সর্বহারার ঘরে;
শুধু প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বাণী দেন গোমরা মুখে,
কীই বা হয় সে বাণীতে, যারা মরে দুঃখে দুঃখে?


এখানে সকল প্রশ্ন থমকে দাঁড়ায়,
অতীতের সব স্মৃতি বিস্মৃতি হয়ে হারায়,
শুধু পাবে বলে দুটো অর্থ বিত্তের থলি,
মানুষসবে দিচ্ছে আজ বিবেক জলাঞ্জলি।
কোমল মনুষ্যহৃদয় হয় ক্রমশ অয়োময়,
শুধু নীরব সময় হতাশ হয়ে একলা কেঁদে কয়,
কেন যে এমন হয়?!