আজ  তোমার নিমম্ত্রন আমার বাড়িতে ...
কাল  যে শিউলি গাছের  ডালে
শাড়িটা রেখে গিয়েছিলে,
আমি ওই গাছটির নিচে আমার ওড়না  এমন ভাবে
পাতিয়ে  রেখেছি , যেন রাতের
একটি শিউলিফুলও  মাটিতে না পড়তে পারে  ।
তুমি  কিছুই বোঝনা ...সুধু শাড়িটা রেখে গেছ ?
মেয়েদের আরো কত  কিছু লাগে জানো শাড়ি পড়তে?!
আমিও  ঠিক করেছি ,
শাড়ি ছাড়া আর কিছুই গায়ে পরবনা  আজ ।
ওই তোমার দেয়া শাড়িটা আমি সমস্ত গায়ে
আলতো করে জড়িয়ে রাখব শুধু ।  
আর ওইযে রাতে  ঝরা শিউলিফুল ,
ওই দিয়ে মালা গেথে  গলায়  পরব ।
তুমি যখন  আমাকে তোমার বুকের  মধ্য নিয়ে আদর করবে,  
ওই গন্ধ   আমি জানি-   ঠিক তোমাকে  পাগল করে ছাড়বে ।
আর আমাকে আরো আরো বেশি করে একেবারে কাছে
একেবারে তোমার আমার
শেষ  শুন্য টুকুও মিলে মিশে এক হয়ে  যাবে ।
দেরী  করনা কিন্তু ,
বেলা হলেই ফুল গুলো কেমন নেতিয়ে পরে ।।


আমি সেই  সাত সকালে উঠে তুমি যে পথে আমার বাড়ি আসবে
তার  সবটুকু নিজ হাতে পরিস্কার করে রেখেছি ।
পথের কোন মলিনতা যেন তোমায় স্পর্শ  করতে না পারে ।
কাল  গাইয়ের দুধ ঘন করে রেখেছি,  খেজুর রসের গুড় ,
গাছের পাকা দুধচম্পা কলা  আর শালিধানের  খই,
সব  করে রেখেছি "তোমার সাথে  খাব বলে" ।
দেরী করনা লক্ষ্মীটি  রাতে কিছুই খায়নি --
"আজ তোমার সাথে খাব বলে" ।।
  
এখনি সূর্য উঠব উঠব করছে -
আমি এখন ওই মধুমতি নদীর স্নিগ্ধ কালো জলে
ডুব দিয়ে, তোমার এই  সোহাগীর শরীরের  সমস্ত কালিমা ধুয়ে  
শুধু  তোমার অপেক্ষায় বসে থাকব ...
আর যদি নদী থেকে না ফিরি দুখ করনা যেন !?