বাতাসের মত আসি কইলো -
বউ কইরে- একটু কাছে আয় দেখি –সাগরে যাইতাম ।
ইলিশের অহন মেলা দাম ।
কত দিন তরে দেখুম না !
এই সাগরের কথা সুনলেই মনডা কেমন হাহাকার কইরা ওডে  ।
লোকটারে হারামু নাতো ?
বাতাসের মতই ঝাঁপটা মাইরা উইঠা কইলো --যাই বউ -- ভাল থাইস ।
আমিও শুনছি ঢাকায় নাকি ইলিশের মেলা দাম –
একটা একটা ইলিশের দাম নাকি হাজার টাকা ।
এই কালবৈশাখের দিনে সাগরে ? মাগো !
ভাবতেই  কেমন পরানডা  কাইপা ওঠে !
আমার মানুস্টা ফিরাইয়া দিও আল্লাহ্‌ । ফিরাইয়া দিও ।


কেমন যেন সব ঝড়ের মত হইইয়া গেল ---
দাদি আসি কইল –কাল তোর বিইয়ে ছেমরি
একটু লাফানি ঝফানি কমকর ।
যা নারকিল তেলের বোতল ডা লই  আয়
মাথায় একটু মাখি দেই ।
সকাল অইল -কেডা যেন দুইখান কলা গাছ
উডানের পথে লাগাইল – মা সারাদিন অনেক  রান্না বান্না
কইরল – পোলার চালের ঘ্রানে বারিডা কেমন মৌ মৌ করতে লাগল ।
মনু ভাই একবার আসি  খালি কইল – তুই আমারে ছাইড়া চইলা যাইবি?  –
কেমন কইরা যে কইল –মনে অইল বুকটার মইধ্য সাগরের ঢেউ আছার খাইয়া পরল ।
সন্ধ্যার পরে কিছু লোকজন আইল – একবার খালি কে জিগাইল বল কবুল –
আমি বলছি কি নাবলছি জানিয়া –কিন্তু সবাই কইল -কবুল কইছে ২ ।।
রাইতে ভ্যানে চইরা একটা বাড়িতে আইলাম ।  
বুঝলাম এই বাড়িতেই আমার  থাকতে অইব ।
অনেক রাইতে আধা ঘুমে একটা পুরা শরীর আমার
উপরে আইসা আস্তে আস্তে কানে কানে কইল
বউ আমি তোমার স্বামী – তোমারে খুব ভালবাসি ।।
আমারে তুমি দেখ নাই – কিন্তু আমি তোমারে দেখছি অনেক বার ।
দেখবা আমারে ? লোকটা তার মুখের উপর টর্চ বাতিটা ধরল –
আলোয় তার শ্যামলা - শক্ত কিন্তু - কোমল মুখটা - আমার মনে-
এমন ভাবে বিন্ধিল -- যেমন কইরা জেলে তার মাছরে --কোচ দিয়া বিন্দায় ।


এই আমার ভাঙ্গা ঘরে  সুখ চান্দের হাসির লেহান খেলা করে ।
শুধু পানি দেখলে ভয় করে – ওই সাগরের নোনা পানি না জানি
কবে - আমার সুখ কাইরা লয় !?