অতলান্ত স্পর্শের অনুভূতি
কেঁপে ওঠে ভূতের অন্তরাত্মাও
কালবৈশাখী আর দূরে নয় যেন একটুও
বিচারক সপ্তর্ষীমন্ডলের দরবারে আপিল করার সময়
এখনও সীমানায় স্থিরচিত্র তবু ; জলরং ছবি।
জানি, খুব ভালো জানি
অনন্তকাল উর্ধমুখী ছুটলেও
ছোঁয়া যায়না দিগন্ত কখনও,
যেমন ছোঁয়া যায়না রাতে’র অস্তিত্ব -
হাত ধরে পাশাপাশি বহুদূর পথ হাঁটলেও ;
তবু রাত, তোমার বুকের মধ্যে
খুঁজে পাই ভাদ্র-আশ্বিনের সবুজ ধানক্ষেত
যেন ‘ঘাটার আইল’ ধরে শৈশবের স্কুল যাত্রা ;
আকাশের কি কোন ঠিকানা হয় !?
প্রিয় রাত, আমাকে কি এভাবেই ঠিকানাহীন রাখবে শুধু ?
ধ্রুব রেখে তোমার ঠিকানা ; কান্নায়!
আমি কি এভাবেই হারিয়ে যাবো !?
আমাকে কি এভাবেই হারিয়ে যেতে দেবে তুমি ?
রূপকথার যতো গল্প, অথবা -  
আরও ছোটবেলায় শেখা নামতা’র মতো ;
আটলান্টিকের চেয়েও শীতল জলধারায়
যে নদী বহমান তোমার বুকে
তারই হিমানলে পুড়ে খাঁটি হতে চাই তবু ;
যেমন, নীল জ্যোৎস্নার মতো -  
ভীষন অমাবস্যাতেও আপত্তি ছিলনা আমার কখনও,
এ সত্য তোমার চেয়ে কে আর ভালো জানে !
জলদেবী, একটু ভেবে দ্যাখো আরও।
আমায় কি ধরে রাখা যায়না কোনভাবেই ?
বরফখন্ডেও না !!!