অ – অর্ঘ্য করি পদদলিত দীন-দরদি মানবের জন্য ,
আ – আহূত করি শ্যামল বনানীর মুক্ত বারি ও বায়ুকে ।
ই – ইষ্ট নামে জপি ঈশ নাম শ্রীমাধবের মহিমায় ,
ঈ – ঈশ আপনারে ব্রততী বন্দনায় শত কোটি প্রনাম ।
উ – উজ্জ্বলতার স্বাগত চাই , চাই অন্ধকারের মৃত্যু !
ঊ – ঊষর জাগতিক নিয়মাবলীর শক্ত কুঠার হাতে করি দমন ।
ঋ – ঋত্বিক , বিরত হবেন না...হোক না আর একটি যজ্ঞের আয়োজন ।
এ – এ ছাড়া ঐক্য-সমতা-সমঝোতা-সততা ফিরে পাওয়া কঠিন ,
ঐ – ঐকান্তিক প্রার্থনা আজ বাঁচার একমাত্রই শেষ পথ ।
ও – ওকালতনামা সবই আপনি প্রভু...করুন
ঔ – ঔদরিক ধর্ষক বাবুদের ( সমাজের চির শত্রু ) বিনাস ।



***************************************************
বিঃ দ্রঃ = কিছু শব্দার্থ নীচে দেওয়া হল......


অ – ( অর্ঘ্য ) – পূজাকর্মে বা শ্রদ্ধাজ্ঞাপনার্থে যা নিবেদন করা হয় ।
আ – ( আহূত ) – যা অথবা যাকে আহ্বান করা হয়েছে ।
ই – ( ইষ্ট ) – মঙ্গল , শুভ , হিত অর্থে ।
ঈ – ( ঈশ ) – ঈশ্বর । গোটা জগতের যিনি ঈশ্বর , তিনি জগদীশ ( জগৎ + ঈশ ) ।
উ – ( উজ্জ্বলতার ) – চকচকে । স্বচ্ছ ।
ঊ – ( ঊষর ) – অনুর্বর । এমন জমি যাতে চাষ করা কঠিন ।
ঋ – ( ঋত্বিক ) – যজ্ঞের পুরোহিত ।
এ - ( এ ছাড়া ) – ব্যতীত ।
ঐ – ( ঐকান্তিক ) – অতিমাত্রিক ।
ও – ( ওকালতনামা ) – উকিল নিয়োগের দলিল । পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ।
ঔ – ( ঔদারিক ) – পেটুক । কথাটা ‘উদর’ থেকে এসেছে । যে মানুষ উদর – পূর্তিতে অত্যধিক আগ্রহী , সে ‘ঔদারিক’ ।


*******************************************************


( প্রিয়কবিবর শিমুল দাদার “স্বরবর্ণ” এর আর “বর্ণপরিচয়” এর আদলে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা । কোনো ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন । শিমুল দা , আপনার কথা রাখলাম । আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে অসম্মান করতে চাই না , আপনি আমার হৃদয়ের কোমল স্থানে আছেন । এই কবিতাটি আপনাকে উৎসর্গ করলাম । )