গ্রীস্মের দেবদাহ কোথা নাই জল,
চিৎকার করে কাঁদে চাতকের দল।
জল নাই প্রভু মোরে করো জল দান,
দয়া করো প্রভু মোদের বাচাও প্রাণ।


সোনা ব্যাঙের বিয়ে দিলো মূর্খের দল,
ঢাক, ঢোল সানাই আর শাঁখ করতাল।
তবু নাহি প্রভু শোনে কাহারোই ডাক,
মিটি মিটি হাসে দেখে তীর্থের কাক।


এলো মেলো ক্লান্তিতে মেলে ডানা উড়ে,
কোথাও যদি একফোটা তৃষ্ণার জল মিলে।
অবশেষে খুজে পেলো এক হাড়ি জল,
ভরা নয় হাড়ি, সেতো হায়! গভীর অতল।


আজি নাহি বাচে প্রভু মোর এ প্রান,
ক্ষমা করো প্রভু মোরে ভিক্ষা দাও জান।
অতঃপর পাথররূপে প্রভু এলো মর্তলোকে,
দুফোটা জল কাকের ঠোটে সত্যি যেন অমৃত মেলে।


এবার পাড়ার বুড়া-জোয়ান ছেলে,
জীর্ণ হাতে বয়ে শিরনির থলে,
সবাই এক মনে প্রার্থনা করে
কভু যদি প্রভুর দয়া মেলে।


প্রভু তখন অট্টহেসে!!
দেখো পার্বতী, মানব মূর্খ বেশে,
করে বন্দনা!!
বৃষ্টি চাহে, জল চাহে, চাহে পূর্ণতা,
কারো হাতে ছাতা নাই একি নয় মূর্খতা?


হঠাত যেন দেবদূত হয়ে ছাতা হাতে ছোট্ট ছেলে,
বুক ভরা বিশ্বাস নিয়ে একমনে বৃষ্টি বন্দনা করে...


বিঃদ্রঃ ছোটবেলা পড়া গল্প কবিতায় রূপদানের চেষ্টা।


রচনাকালঃ ২৩ এপ্রিল ২০১৮ইং।