প্রিয়,আমার চোখের জলপ্রপাত দেখেছিলে?
কিংবা শুনেছিলে? ভগ্ন হৃদয়ের গগনগ্রাসী কান্নার ঢেউ
কখনো তোমার আগ্রাসী হৃদয়কে স্পর্শ করেছিলাম?
কিংবা তোমার অচেতন ভালোবাসার কল্পিত কাহিনী!!


নিশীথে শোনাতাম তোমায় এক একটা আরব্য রজনী,
অার সোনালী প্রভাতে তোমার সেই প্রিয় কবিতাগুলি।
মনে পড়ে? তোমার সেই গোলকধাঁধার জটলার কথা?
প্রতিটা ক্ষনে তুমি তোমার কিম্ভুত ধাঁধার উত্তর খুজতে।


তুমি তো সেই কবেই চলে গেলে আমাকে নিঃশ্ব করে,
বেদনা বিদীর্ন মরুর হৃদয়ে জল নেই আর এক ফোটা।
আচ্ছা!
তুমি এখনো আরব্য রজনীর গল্প শোনার বায়না ধরো?
শুভ্র সকালে কেইবা শুনায় তোমার প্রিয় কবিতাগুচ্ছ?


এবার আমার চোখে চোখ রেখে বলোতো!!
আমার দেয়া শেষ চিঠিগুলোও কি পুড়িয়ে ফেলেছ?
নাকি সযতনে তোমার ডায়েরীর কোন ভাঁজে গুজেছ!
তোমারতো নীল খুব পছন্দ ছিলো,
তাই তোমাকে প্রতিটা চিঠিই নীল খামে মুড়ে দিতাম।


তুমি বড্ড অদ্ভুত, নীলের মানেটা তুমি জানতে!
খানিক দেরী হলেওআমি জেনেছিলাম নীলের মানে,
বেদনার রং নীল, আকাশটাও নীল,
আর সর্প দংশনে নিথর দেহের বিষক্রিয়াও নীল
আচ্ছা! তুমি কোন নীলটা আমায় উপহার দিলে?


জানো? এখনো প্রতিটা রাতে তোমায় চিঠি লিখি
কিন্ত চিঠিগুলো পোষ্ট করার আগেই
অশ্রু ঝর্নায় সিক্ত হয়ে দুমড়ে মুচড়ে ছিড়ে যায়।
মাঝে মাঝে বালিশটাও ভিজে ভ্যাপসা গন্ধ বের হয়
তবুও তোমাকে লিখি, বার বার লিখবো।


যখন অশ্রু শুকিয়ে কাঠ কিংবা কোন ধাতব হবে
বিশ্বাস করো তখন তোমাকে আর লিখবোনা,
কালের গড়লে হারিয়ে যাবো মহাশুন্যের কোথাও
আর চিরনিদ্রায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবো...