বৈশাখেরই প্রথম দিনে
বিত্তবৈভব দেয় হাকিয়ে,
গরম ভাতে জল ঢালিয়ে
পান্তা-ইলিশ দেয় সাজিয়ে।


একমুঠো ভাত সংকটে
পথশিশু অকাতরে
ছিন্ন হয়ে ঘুরে ফেরে,
হায়রে ক্ষুধার যন্ত্রনা!


ধনীর দুলাল বায়না ধরে
মস্ত হাতির পিঠে চড়ে
চোখে-মুখে রং মাখিয়ে
বৈশাখ এবার দেখতে যাবে।


বৈশাখ নাকি ভারী মিষ্টি
বছর ঘুরেই নব সৃষ্টি
বাংলা মাসের নাম ভুলে যে,
বৈশাখ খোকার মনে ধরেছে।


বৈশাখ দেখতে এসে দুলাল
দেখলো শেষে বৈশাখী ঝড়
হন্যে হয়ে বৈশাখ খুজে
ঠোট ফুলিয়ে দেয় সে কেঁদে।


বাবার কাছ বায়না এবার
বৈশাখ খুজে দিতেই হবে
নইলে ঘর আজ লঙ্কা হবে,
বৈশাখ নিয়েই ফিরবে তবে।


হায় কি যন্ত্রনা!


বৈশাখ এবার কোথায় পাবো
খোকাকে গিয়ে কি জানাবো
বৈশাখ নয়তো কোন খাবার,
যা দিয়ে খোকার মন ভোলাবো।


সংস্কৃতি আজ রসাতলে
হাতে মুখে রং লাগিয়ে
গীটার ছেড়ে একতারা ধরে
অবশেষে বাঙ্গালী সাজে।


হাত উচিয়ে ঠোট বাকিয়ে
বখাটেরাও সেলফি তোলে,
ভীড়ের মধ্যে গা ভাসিয়ে,
কেউ কারো নিতম্ব ধরে।


হায়!  কি লজ্জা


এ যেন ঐতিহ্যের উপহাস
খোকাও জানেনা বৈশাখ একটি মাস
পান্তা আর ইলিশ ভোজে
সত্যিই কি সবাই বৈশাখ খোজে?