পশ্চিমের কোল ঘেষে গোধুলির রক্তিম রবি,
কালের স্রোতে বোধয় এখনি ঘনাবে মলিন সন্ধ্যা।
উত্তপ্ত ধরনী যেন ক্রমে স্তব্ধ দমকা হাওয়ায়,
শিথীল থেকে শীতলতর সমস্ত অভিশাপ।
আকাশের কোনে জমে থাকা ল্যাপ্টানো মেঘ,
আর নদীর বুকে কলঙ্কিত কালো জলছবি।
ব্যস্ততার আগ্রাসন থেকে যেন মুক্ত ধরনী,
নীরবতার বাধ ভেঙ্গে নীড়ে ফেরে মুক্ত পাখী।
হঠাতই মনের কোনে ভেসে ওঠে প্রিয়তার ছবি,
ভূবন ভুলানো সেই চিরচেনা অমলিন হাসি,
আর অগ্নিচোখে রুষ্ট চাহুনির তব রূক্ষমুর্তিখানি,
অধিকারের ছলে ভালোবাসার মিষ্টি বকুনি।
ঠোটের কোনে লেগে থাকা এলোমেলো লিপস্টিক,
আর ঠোট মোছা টিস্যু কুড়িয়ে স্মৃতিতে জমানো প্রেমিক
স্বপ্নভেলায় ভেসে গ্রহ থেকে গ্রহমন্ডল পাড়ি।
হঠাত সন্ধ্যে গড়িয়ে ঘনিয়ে এলো অাঁধার ঘেরা নিশী,
ঝোপের ধারে জোনাক পোকার অালোর মিছিল,
গগনগ্রাসে কোলাব্যাঙ আর লক্ষীপেঁচার ডাক।
আরাম কেদারায় বসে খুব সন্তপর্নে ভাবছিলাম,
এই জোনাক পোকার মিটিমিটি আলো,
কোলাব্যাঙ, লক্ষীপেঁচা আর ভালোবাসা মূখর
এই নিশী ডাকের মোহঘোর সত্যিই পার্থিব?