সূর্য্যটা  অস্ত গেল- আশু আঁধারে ভীতিগ্রস্ত আমি!
সংকুচিত হয়ে এলো জীবনের অধ্যায়-প্রসারনের পূর্বেই


পশ্চিমে আকাশ লোহিত বর্ণের ধূসর সাজে সজ্জিত,
পাখিদের ঘরে ফেরা প্রমাণ করে দিবসের ইতিকথা।
বিষন্ন-বিরহী এ প্রাণে প্রামাণ্য নেই কিছুই আর-
অন্তিমতাকে পুনরায় প্রমাণ করার।


জোনাকিদের মিটিমিটি আলো তারার বেশে ছড়ায় চারিদিকে
বিন্দু বিন্দু আলোক রেখা ভেসে উঠে আমার সামনে-
আবছা ঘোলাটে দৃষ্টিতে হারানো পথ খুঁজে চলি!


অরণ্যের মেটোপথ তার উজ্জ্বলতা বিকিরন করে,
গন্তব্যের পথ প্রসারিত করে দেয় চাঁদের শিতল ছায়া।
আমি চলে যাই সেই পথ ধরে বহুদূর--
যেখানে পথ শেষ হয়ে গেছে পথের সীমানার সাথে।
নির্জনতায় সঙ্গী হয় একবন নিরবতা আর ভয়ানক রাত,
হঠাৎ রুপকথার কোন রাজপুত্রের মত চলতে থাকি-
মনপূর্ণ সাহস আর প্রেরণাকে সঙ্গী করে!!


মাঝে মাঝেই পথ আগলে দাড়ায় পাপিষ্ঠ প্রেতাত্মার দল,
ওরা সঙ্গী করতে চায় আমাকে!
পূর্বের আকাশে একটা নীলচে তারকা ভেসে উঠে,
প্রাণটা ফিরে পাই প্রাণের প্রান্তরে।


আশার আলো জ্বেলে খুঁজে দেখি চারপাশ-
কি মধুর রত্নে!  কি কাঙ্খিত মণিতে ছেয়ে আছে সারাবন!!
অজান্তেই হাতখানা প্রসারিত হয় আমার।
অন্তরের অন্ত হতে ভেসে আসে আহবান-
" আমি নির্জীব,আর নির্জীব আত্মা কখনও প্রাণের প্রত্যাশা করেনা!"
হাতখানা গুটিয়ে চলতে থাকি সামনে,
পেছনে ফেলে যাই অমূল্য সব রত্নরাজি!
পূর্ব দিগন্তে লালচে রেখা ফুটে উঠে,
পাখিদের কলরব নতুন দিনের সূচনা করে,
আমি আলো দেখে ভয় পেয়ে যাই-!!