একদিন এক পথিক আমায় জিজ্ঞাসিল ছলে,
অচিনপুরের পথটা কোথা দেই যদিকো বলে।
যেথায় পাতাল ফুঁড়ে আগুন ঝরে,
বৃষ্টি হয়ে কষ্ট রঙের রক্ত ঝরে,
পূণ্য-পাপের নেইকো হিসেব জানে অন্তর্যামী,
হেথায় রাক্ষুসীদের নিমন্ত্রণে প্রাণ জুড়াবো আমি।
স্বর্গ-নরক নেইকো হেথা,
বলতে পারো পথটি কোথা?
পাতাল বেয়ে এবার তবে সেই দেশেতে যাবো,
মরণ নামের শুদ্ধ খেলায় শুধুই মেতে রবো।


বলেছি আমি অবাক চোখে তারে,
অমন কি আর দেশও হতে পারে?
রক্ত যেথা সাদা রঙের পরে,
কষ্টগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে!
এবার তবে যাওনা ফিরে ঘরে,
নেই কোন দেশ অমন অচিনপুরে।


ঘর ছিল যা পর হয়েছে ভোরেই,
যাবোই হেথা হোক না যত দুরেই।
কলজেটা দেখ ছিঁড়ে গেছে কালবোশেখীর ঝড়ে,
খুঁজবো সে পথ অচিনপুরের হেথায় হোথায় ঘুরে।


আমিও যে সঁপেছি মন সে অজানার তরে,
যেথায় প্রাণের মাঝে দেহটা তার সত্বা খুঁজে ফেরে।
প্রাণটা দেখো নিথর আমার,
খুঁজবো সে পথ হেথায় যাবার।
পথটা যদি খুঁজেই না পাই শেষে,
পথ হারাবো এবার তবে তোমায় ভালবেসে!