এখানে বিষন্ন বিকেলের আহত রথে চেপে ধূসর গোধূলি নামে,
ফেরারী বাতাসে ভেসে বিরহী বার্তা আসে বেদনার নীল খামে।
শুকনো পাতার সুরে অবিরত গেয়ে চলে ব্যথাতুর গান,
একটু সন্ধ্য হলে আঁধারের সাথে ছুটে মৃতপ্রায় প্রাণ।


এখানে অনন্ত আঁধারী দেশে জোনাকিরা আলো জ্বালে বেদনার ছলে,
নিত্য সাগর হয়-নদীদের মিতালী রয় শুকনো চোখের জলে।
সুখেরা কষ্ট বেচে নিরন্তর সুখ খুঁজে তারাদের পথে,
একটু গভীরে ডুবে আঁধারের পথ আঁকে জোনাকির সাথে।


এখানে হাজার বর্ষারাতে এতটুকু বৃষ্টি ঝরে মেঘেদের নামে,
অঝোরে প্লাবন জমে অভিমান সাথে নিয়ে প্রণয়ের দামে।
মেঘহীন আকাশপটে স্বপ্নেরা ছবি আঁকে-রং তার ফিকে,
ঘোলাটে চোখের আঁড়ে কান্নারা জমা হয়ে মিশে থাকে বুকে।


এখানে স্বপ্নের খেয়াঘাটে পালছেঁড়া নাও ভাসে অচেনার কূলে,
এপাড়েতে কাশবন হারিয়েছে রং যেন ওপাড়ের ভুলে।
মাঝি তার ভাঙামনে ভাটিয়ালি গান ধরে আনমনা সুরে,
ঘর সেতো ভেসে গেছে,আর তার ভালবাসা-আরো বহুদূরে।


এখানে পাবকের আলো হাতে আঁধারের বাঁধ ভেঙে সোনালী সকাল আসে,
আর পাখিদের গলা ধরে ইশান-নৈর্ঋত জুড়ে না ফেরার গান ভাসে।
একটু বেলা বয়ে আকাশের রাঙাপথে মিশে যেতে সাধ জাগে,
তারপর বাকীটা সময় জুড়ে সন্ধ্যার আকাশ হয়ে হারাতেই ভাললাগে।