মহকাল ঘড়ি, বেজে যায় টিকটিক
মানবীর চোখ, চিনে নেয় ঘর দ্বোর
গলির গরলে নির্বাসনের পথ
আঁধারের ভ্রূণে একটা নতুন ভোর ।


শীতের গন্ধে উড়ে যায় কুটো খড়
প্রান্তের টানে, অমোঘ দুর্নিবার
নবান্ন নদী, শব্দসাঁকোর প্রেম
ব্যক্ত পৃথিবী, কালের অন্ধকার ।


চোখ থেকে চোখে মহানগরীর মেঘ
পালক রেখেছে পলকের দেখা মুখ
জানলার ছায়া, বৃষ্টি বৃষ্টি মন
অধ্যায় জুড়ে অপাপবৃত সুখ ।


দৈব আলাপে সরে যায় ঘুম ঘোর
সাঁজের স্বপ্নে, সুমীতার চাঁদ ঘর
জ্যোৎস্নায় ভেজে দেবপর্নার চোখ
প্রতিভার দেহে মিছিল কন্ঠস্বর ।


রাত পাখি গায় মহাকর্ষের গান
বিন্দুতে শুরু বিন্দুতে যার শেষ
চোখের আড়ালে দিগন্ত খোলামাঠ
দুপুর ছুঁয়েছে অনন্ত অজিতেশ ।


***(কবিতাটি অজিতেশ নাগের "অপাপবৃত" উপন্যাসকে ভালোবেসে)***