ঘুমের মাঝে তোমার যাওয়া আসা
মনটা তোমার চর্যাপদের ভাষা!
ভাষার লিখন দেয়াল জুড়ে থাকে
কান্না পেলে বলবো এখন কাকে!


শোনার মানুষ রঙীন বিজ্ঞাপনে
বাঁধলো সমাস অন্য ব্যাকরণে।
গল্প কাঁদে বুকের ছোট্ট তিলে
রঙচটা এক ইলেকট্রিকের বিলে।


হঠাৎ করেই সুখের কাটাকাটি
ডিঙিয়ে গেলে রক্তে ভেজা মাটি।
আমি এখন সুখ কুড়িয়ে নিজে
লাশের সারি রাখছি ঠান্ডা ফ্রিজে।


বোবা বালিশ বলে না রূপকথা
তারও নাকি ভীষন মাথাব্যথা!
তবুও ঠিক শাসন ষোলোআনা-
শখ করে আর দুঃখ পেতে মানা।


ইচ্ছে ছিল- খুব বেহায়া হবো
গল্প নিয়ে তোমার পাশেই শোবো।
ইচ্ছেরা সব ভাসলো নিম্নচাপে
অনিচ্ছে, তুই বাঁচিস চায়ের কাপে।


চারিদিকে ঘাসবিছানার সারি
যেখানে যাও সেটাই তোমার বাড়ি!
এখন তোমার কিই যায় বা আসে
ঘাসফড়িঙের একটা মৃত লাশে!


এখন আমার ভীষন চেয়ে থাকা
শহর গলি বড্ড ফাঁকা ফাঁকা!
অসুখ এসে বাড়ায় সুখের বি.পি.
অপেক্ষা সব হলুদ পান্ডুলিপি।


বইয়ের ভাঁজে তোমায় খুঁজে ফিরি
বই খুললেই কান্না আসে ভারী!
সারাক্ষণই আয়না জুড়ে থাকো
অনেকদিনই আয়না দেখি নাকো।