জমছে ধুলো বইয়ের মলাটে প্রতিনিয়ত,
অসির লেখনীর ক্ষীপ্রতাও কমছে অবিরত,
বুঝিবা বিবেক মোদের নয়ত আর জাগ্রত,
এই বাস্তবতায় কিভাবে নতুনকে জানাই স্বাগত।
আমরা কত নির্লজ্জ!


তবে কিসের জন্য লেখার তাড়নায় ভুগি,
নয়তো মরচে পড়া কলম কেন আকড়ে ধরি,
কেন মিছেমিছি কবিতা লেখার এই প্রাণান্ত চেষ্টা,
ওরা ভাবে,ছাইপাশ কবিতে ভরে গেল দেশটা।
ছিঃ আমরা কত নির্লজ্জ!


ওরা কি ভুলে গেছে,
কবিতা পারে অমানুষেরে মানুষ করতে,
কবিতা পারে ঘুমন্ত মানুষকে বিদ্রোহের গান শেখাতে,
কবিতা পারে রক্তাক্ত প্রান্তরে ফুল ফোটাতে,
কবিতাও পারে যুগে যুগে মুক্তির গান শোনাতে।


কবিতা কি সন্তানের কপালে চাদের টিপ দিয়ে যাওয়া,
কবিতা কি প্রেমিক যুগলের ভালবাসার পংক্তিমালা,
কবিতা কি শুধু কারো জন্যে মিথ্যে স্তব গাওয়া,
ছিঃ আমরা কত বেহায়া!


কবিতা কি শুধুই চরণে চরণে ছন্দের মিলন,
কবিতা কি শুধু কবি হবার বৃথা আষ্ফালন,
পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে নগ্ন বোমা বিষ্ফোরন।
আমরা কত হিংস্র!


কবিতার বই কি শুধু শেলফে থরেথরে সাজানোর জন্য,
কবিতার বই কি মন্চে দাড়িয়ে নেতার দুটো লাইন আওড়ানোর জন্য,
কবিতার বই কি নিছকই লাইনে দাড়িয়ে অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য।
ছিঃ আমরা কতই না কপট।


আজ কবিতা পারে না শকুনীদের বিবেক ব্যবচ্ছেদ করতে,
কবিতা পারে না লোভী মানুষের লকলকে জিহব ছিড়ে ফেলতে,
কবিতা পারে না অজস্র ঘুণপোকাদের বিষাক্ত বীজ নষ্ট করতে,
তাই কবিতা পারবে না এই বিবস্ত্রা গ্রহে অনাগতদের অভ্যর্থনা জানাতে।
ছিঃ আজ কবিতা কতই না অসহায়।।।