একদিন ঘুম ভেঙে উঠে দেখি
তোমরা তখন ও নিঃশব্দে খনন করে চলেছ,
কেটে ফেলেছ
আমার বুকের অনেকটা পাহাড়।
আমাকে দেখেই ভিড় থেকে কেউ বলে উঠলো
"এই বুক জুড়ে একটা তাজমহল হবে ,
যা ছুঁয়ে যাবে মেঘের পাখসাট "
যা শুনে আরো একজন ফিসফিস শব্দে বলে উঠলো,
"তাহলে তো আরো গভীরতা চাই,
যে গভীর কুহক জলে
ডুবে যেতে পারে জ্বলন্ত সূর্য। "
কিন্তু আমি তো শাহজাহানের মতো
করিনি কোনো অন্যায্য অঙ্গীকার।
বিষাদের স্থাপত্যে আমার দারুন অনীহা।
যে স্খলিত প্রস্তরের
মুগ্ধতা ছুঁয়ে ছিল তোমাদের চোখ,
তার আগুনে কতবার প্রতারিত হয়েছে বসন্ত যৌবন।
এখন আমি বসে আছি আমার কাটা পাঁজর ঘিরে  নির্মিত
একটা অসমাপ্ত তাজমহল নিয়ে।
বিনিদ্র চোখ গেঁথে রেখেছি দিগন্তের আলপথ মাঝে।
আমি জানি একদিন তা খুলে যাবে,
শুরু হবে নোনাজলের উপদ্রব,
ভেঙে যাবে পাথরের ঔদ্ধত্য।
সেদিনই বোঝা যাবে
নশ্বর পাথরের কাছে থাকেনা কোনো ঋণ।
যে মেঘ সাদা বালিতে ঘষা যায় আগুনের তীক্ষ্ণতা,
শুধু সেই বালিভেজা ক্ষণতলে পড়ে থাকে অনন্ত সঞ্চয়।