কথা ছিলো সোনালী চতুর্ভুজের পাশ দিয়ে
সমুদ্র স্নানে যাব।
ভাসিয়ে দেবো বুক জুড়ে চেপে থাকা ক্ষুধার শহর।
এরকম ফিরতি দুঃখের গলিতে তুমি অজান্তে ভাসিয়েছ অযত্ন কাজল চোখ।
সুখের শরণার্থী হতে চেয়ে
নিঃশব্দে নিষেধের কাঁটাতার পেরিয়েছ।
বিকেলের ডাউনট্রেন ধরে যে মেঘ চলে গেছে
এক পৃথিবী থেকে অন্য পৃথিবীর দিকে,
সে মেঘের মৈথুন তোমার - আমার মধ্যে ছড়িয়েছে
একটা বেনামী অসুখ।
যার অলিখিত উপসর্গে
আমিও শরীর জুড়ে এক পশলা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নিয়ে,
চাঁদের অলক্ষ্যে পেরিয়েছি সময়ের দেশকাল,
নির্দ্ধিধায়  খুলেছি তোমার রান্নাঘর।
আর,
তুমি ও প্রতিটি আঁধারের ঋতুচক্রে খড়কুটো জ্বালিয়েছ ,
আমার জন্য সাজিয়ে রেখেছ ঝিনুক ভরা একমুঠো ভাত।