এক সলতে জীবনের পিদিম,
জ্বলে বুকের ভিতর।
এই বিভাবরী কালে
আমিও ছেড়ে যেতে পারিনি
এই  খোলস নির্মাণ।
শুধু দেখি ,
চাঁদ আসে ,চলে যায়,
নির্মোর্হী পাখির মতো,
ক্লান্তির কক্ষপথ ছেড়ে,
রেখে যায় অমাসন্ধ্যাকাল,
ফেলে যায় জোছনার গান।
আমিও ফেলে এসেছি
শৈশবের কুসুমকলি নদী।
যেভাবে বালিহাঁস ফেলে গেছে ,
অবসন্ন পালকের পাতা,
বুকে নিয়ে উড়ালের স্পৃহা ।
যৌবনের দেবদারু বনে
আমি কতবার দেখেছি বৃক্ষ বিহন।
এই দহনের উপত্যকা জুড়ে
নেই আমার কোনো গন্তব্য স্থল।
শুধু মাত্র হেঁটে যাবো বলে
অন্ধকারে খুঁজে চলি পথ,
অজ্ঞাতে করে চলি পাথর খনন।