হে আগামী,


তুমি অনাগত ,
তাও জানি আসবে তুমি একদিন এই পৃথিবীর বুকে ,
তাই আমি এই পড়ন্ত বেলায়  তোমার কথাই ভাবি,
তোমার কথা  ভেবে প্রতিদিন সোনালী বিকেল আসে,
সূর্যের রং ঝরে পড়ে, ঝিলমিল করে বালুচর।
তোমায় ভেবে নদী হয় উত্তাল, উদ্দাম ,
বাঁধন ছেঁড়া টানে ছুটে যায় ঢেউ ,দুলে ওঠে দুপাশের কাশবন ।
তোমায়  ভেবে নদীর ভাষায় গান বাঁধি।
ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে নদীর জলে ভাসি ।


হে আগামী,
তোমায় ভেবে আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকে স্বপ্নময় মেঘমালা ।
যে মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে ,
ফিরিয়ে দেয় শুস্ক প্রান্তরের সবুজের শ্যামলিমা ।
তোমায় ভেবে জোৎস্না প্লাবিত হয় আমার ঘরের উঠোন ।
জোনাকিরা আবার ভীড় করে ।
তোমায় ভেবে আমার  মনের ঘরে আবার সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে ।


হে আগামী,
তোমায় ভেবে দিনের শেষে শ্রান্ত পাখি ঘরে আসে।
শীত পেরিয়ে বসন্ত আসে ।
সমস্ত রুক্ষতা ফিরে পায় ফাগুনের রং ।
রুপোলি পূর্ণিমায় চাঁদ সব কলঙ্ক মুছে  নিজেকে খুঁজে পায়।
তোমায় ভেবে সন্ধ্যা শিশিরে স্নাত হয় সেই নীরব প্রান্তর।
তোমায় ভেবে অন্ধকারে ভেসে যায়  আমার বিরহিয়া  বাঁশির সুর ।


হে আগামী,
যা কিছু ছিল পুরাতন,ধূলিধূসরিত ,
এখন সময় এসেছে সব মলিনতা মুছে দেওয়ার ।
জানি ,বেলা ফুরোলে হারিয়ে যাবে এই বিষন্নতার সুর।
কেটে যাবে সব অবসাদ ,
তোমায় ভেবে সমস্ত ক্লান্তির হবে  অবসান ।
হে আগামী,এখন সময় এসেছে ফিরে আসার,
তাই এই বসন্ত গোধূলি তে আজ ও আমি তোমার অপেক্ষায় ।