জন্ম হয়েছিল আমার, এক সাধারন গ্রামে।
জ্ঞানত জানতাম সেটাই আমার বাড়ি।


যখন ভূগোল পড়া হল বয়স বেড়ে—
জানতে হলো আমার ঠিকানা,
দেশের বাম পাশটা ঘীরে।


ইতিহাস আমায় শুনিয়েছিলো—
আমার দেশীয় আত্মকথা।
তিনরঙা তার ধ্বজা আজও—
বীর-রক্ত মাখা!


দেশপ্রেমীরা শিখিয়েছিলো—
দেশকে যেন আমি, মা বলে ডাকি।
মা মানে তো ভালোবাসা,
তাতে আবার প্রমাণ লাগে নাকি!


বিজ্ঞান আজ শেখালো আমায়,
নতুন জ্ঞানের আলোয়।
রপ্ত হলো বিদ্যা নতুন—
এবার হবে, মায়ের প্রমাণ আদায়!


আজ কমল সবুজ হাওয়ায়,
দেশটা আমার বদলে গেছে।
নোবেল-টোবেল বুঝি না বাপু—
বাংলা ভাষা মুছতে হবে!


দেশটা তোমার একার নাকি?
কথার ধারে কুপিয়ে দেবে!
তিন রঙেরই রঙিন ধ্বজা,
আজ সন্ন্যাসী হতে উঠছে মেতে।


তুমি তাসের টেবিলে বাজি ধরেছো,
সকলের গলা, দলা পাকানোর!
আজ মা কেঁদে যায় সন্তানশোকে—
কেউ নেই, তার চোখ মোছানোর!


স্বরাজ এলো, বাতি এলো,
এলো ফোর-জি, তবু আকাশ কালো!
মিথ্যে বচনে চড়িয়ে গলা—
বাসছো কী তুমি, দেশকে ভালো?


বিলপর্ব মিটলো তো খুব,
গরীবের পেট ভরবে কবে?
পেঁয়াজের দরে থলিতে চড়া—
বলো না...
তবুও কেন কৃষক মরে?


মায়ের আমার বড়ই মায়া,
সম্পৃতীরই সুর বাঁধে সে!
তবু বিষপদ্মের আগাছা ঘাসে—
সরষে শুকোয় ভূতের বাসে!


কে যেন এক বলেছিলো—
“হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন
আমার রক্ত আমার ভাই!”
স্বামিজী, আজ গেরুয়া রাজের ভন্ড ভীড়ে—
বিবেক-বোধে শুধু তোমায় চাই!


শিক্ষা তো আজ নেই কোনো কম,
ত্রুটি নেই কোনো তালিম প্রদানে।
তবে এমন বিদ্যা বোঝাই করে,
তারা নির্বাক কেন নিদ্রাযাপনে!


রাম-পূজারী রাজার দেশে,
নারী মানেই তো ভোগপণ্য!
যারা বৃদ্ধাশ্রমে কেবিন ভরায়,
তারা করবে নাকি দেশ ধন্য!


আজ মাদক মেশানো রক্ত পানে—
চলো পাথর ছুঁড়ি, মানুষ কোপাই।
রক্ত রাঙা ধ্বজা ওড়াতে,
বিপ্লব আজ তোমাকে চাই!