রেশমকীটের নিষ্ঠিবণে দেখেছো কি পরিতাপ?
মেপেছো কি ঐ ফনির চাঁদের বিষেল যন্ত্রণা?
উত্তলতার তলার ঘরের এপিটাফে লেখা আছে;
সুখ যে বড়ই সূক্ষ্ম সুখেন, তোমরা বুঝলে না।


যেই পাখিটার খেচরবৃত্তি অনীল নির্বাসনে।
একটিমাত্র পালকের ক্ষয়, লঘু করে যার ডানা।
সেই স্বর্ণগরাদ ভেঙে ফেলা ঠোঁট, খড়কুটো চিনে ফেলে!
সুখ যে বড়ই  স্বাধীন সুখেন, তোমরা চিনলে না।


হাতড়ে-কামড়ে ছিনিয়ে তো নিলে, সোনার চাদর-বালিশ।
এপাশ ওপাশ দীর্ঘশ্বাসেও পাল্লা বুজলো না!
ভাইগো সুখেন, পুষলে ব্যাথা;
                     পুষলে নালিশ, পুষলে ঘৃণা।
                     পুষলে কাব্য, পুষলে মালা,
                              পুষলে সুরের সুরঞ্জনা!


তবু সুখের খাতিরে মুঠেক দুঃখ, পুষতে পারলে না।
সুখ যে বড়ই হালকা সুখেন, ভাসিয়ে দেখলে না!