চিরযৌবনা শ্রাবণী কুমারী নদী বয়ে চলে
প্রেমময় স্রোতে সুদূর বিশাল সমুদ্রপানে,
মহাকালের বিবর্তনে ভাটা পড়ে যৌবনে;
অবশেষে চিহ্ন রেখে সেও একদিন হারায়-
তার বুকে বেদনার বিস্তীর্ণ বালুরচর গড়ে।


অনন্ত রহস্য ঘেরা মহাকাশের কোটি কোটি
তারকারাশি, রাতের আকাশের প্রদীপরাশি;
একদিন ঝলমলে তারাও হারায় নিশ্চুপ নীরবে
হয়তো বয়সের ভারে কিংবা অভিমানে অকালে;
লোকে বলে- তারা খসে, হারায় কৃষ্ণ গহ্বরে।


ফাগুনের আগমনে হাজারো রঙের বাহারে
প্রকৃতি সাজে ফুলে ফুলে কুমারীর সৌন্দর্যে,
বসন্তবেলার মনোহারিনীরূপ যেন রূপকথার
পরীর মতো সংগোপনে মানব হৃদয় কাড়ে,
একদিন সেও ফিকে হয়ে যায় বসন্ত শেষে।


রচনাকাল : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ খ্রিঃ