লেনিন,তুমি ফিরে আসো শান্তির জলধারা হয়ে
ভলগা ছেড়ে পদ্মা-মেঘনার বুকে  
প্রতিবাদের মশাল হয়ে জ্বলে ওঠো আরেকবার
পুঁজিবাদের কালোথাবায় নিষ্পেষিত এই বাংলায়
বুর্জোয়া বুদ্ধিজীবিদের চপোটাঘাতের সময় এসেছে আবার।


লেনিন, তুমি ফিরে আসো, মেহনতি মানুষের ভীড়ে
লেনিন, তুমি ফিরে আসো, পাঁজরভাঙা কৃষকের নগ্ন দু’বাহুতে  
লেনিন, তুমি ফিরে আসো, বিপ্লবের হাতিয়ার হয়ে
লেনিন, তুমি ফিরে আসো, ঘাটে-মাঠে শ্রমিকের বুকে
লেনিন, তুমি ফিরে আসো, দৃপ্ত শপথে মজদুরের বেশে
লেনিন, তুমি ফিরে আসো, সময় হয়েছে ফিরে আসবার
প্রতিবাদের উষ্ণ জনস্রোতে ভেঙে দাও সকল অন্যায়ের বাঁধ
গুঁড়িয়ে দাও ভোগবাদের লালসায় গড়া পুঁজির রাজপ্রাসাদ।


ঐক্যের মহামন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে শূন্যে উঠুক নিপীড়িতের মুষ্টিবদ্ধ হাত
উপড়ে ফেলুক শাসকের রক্তচক্ষু, বিষাক্ত নীল দাঁত
ছিনিয়ে আনুক বিলাসের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে যাওয়া ন্যায্য অধিকার
শেষ হয়ে যাক লৌহখুনে রঞ্জিত হওয়া দীর্ঘশ্বাসের প্রহর।    


লেনিন তোমার আগমনে প্রাণস্পন্দনে জাগুক কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ
বাংলার বুকে নব জাগরণে সূচিত হোক সাম্যের নবযুগ।


উৎসর্গঃ রুশ বিপ্লবের নায়ক ভ্লাদেমির লেনিনকে, যিনি পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।