ওদের রক্তের পিপাসা মেটেনি
ওরা রক্ত পিপাসু,পশুর দল।
নেড়ে কুকুরের মত।
নেড়ে কুকুরের মত
চেটে চেটে খেয়েছে ঐ পশুগুলো,
রাজপথে যে তাজা রক্ত ঢেলেছিলাম
আমি- আমরা।
হিংস্রে নেকড়ের মত, টেনে-হিঁচড়ে আমার
আমাদের লাশগুলো করেছিল বীভৎস।
রাইফেলের বেয়ানট দিয়ে,
শকুনের মত খুবলে, খুবলে, আমায়-
আমাদেরকে করেছিল, ক্ষত- বিক্ষত।
পশু ওরা,
ওরা কুকুর,হায়না- শকুনের দল।


সবার অলক্ষে আমার যে লাশ
পুঁতে রেখেছিল, বুড়িগঙ্গার তীরে।
আজ ৬৪ বছর পর কোদালের আঘাতে
জেগেছি আমি।
আমার লাশের গায়ে মাংশের
প্রলেপ নেই। যা আছে-
মাথার খুলিতে বুলেটের গর্ত আর-
কয়েকটা পাঁজরের হাড়।


আমি ভেবেছিলাম,
হয়ত কোন পশু, ওদের মত,
রাইফেল হাতে বলবে-
“ ডাল দো আন্দার,
কই পরোয়া নেহি, যো ভি হো”


কিন্তু এ কি?
কোন এক বাঙ্গালী ভাই
মিষ্টি অথচ করুনার স্বরে বলছে-
“ ইস ! কংকালটার খুলিতে বুলেটের
আঘাত ! আহা !!”


আজ ৬৪ বছর পরও-
কারো মুখে বাংলা কথা শুনে
আমি ভুলে গেছি-
সেই দুর্বিষহ পরিনতির কথা,
মিছিলে সেই বুলেটের আঘাত,আমার মৃত্যু।।


প্রকাশকালঃ ২০১৪
গ্রন্থঃ "বর্ণে একুশ"
গ্রন্থে কবির আসল নামে প্রকাশিত হয়েছে।