স্বপ্নটা কি তখনো বুঝিনি,
বাবার আঙ্গুল ধরে প্রথম স্কুলে যাওয়া
হয়তো ওটাই আমার স্বপ্ন ছিল,
বাবার দুই নয়ন ভরা!


আমি নিজেকে তখনও খুঁজিনি!
কৈশোরে শূন্যতায় যখন হাহাকার জীবন!
আমার ভাবনাগুলো সব!
বাবাই জুড়ে দিত, আলপনার সাত রঙে!
একটু একটু করে জেনেছি
ঐ নীল দিগন্তে ঘুড়ি হতে,
উৎসুক নয়ন বাবার জলে ছলছল!


বৃষ্টি কেমন রিনিঝিনি সুর তোলে,
নীল জোছনায় সাগর কেমন ঢেউ খেলে!
যৌবন ভরা চোখে চেয়ে থেকেছি,
আমি স্বপ্ন দেখতে শিখেছি!


স্বপ্ন আঁকি ডায়েরির পাতায় পাতায়,
কোথায় আছি আমি? খুঁজে বেড়ায়!
দুর বহুদুর পথ হেটেছি অবিরত,
সুরের মুর্ছনায় হারিয়েছি নিজেকে
ঐ সুর যে আমার কথা বলে!
দেখেছি বাবার চোখে আনন্দাশ্রু,
এসেছে জীবনে সাফল্য যত।


কতটা শ্রাবণ, বসন্ত এসেছে
ফিরে গেছে সব না বলা কথাতে,
ভুলেছি না সঁপেছি নিজেরে?
অন্যের তরে! হিসেব কষিনি তো!
পিছনে ফিরে দেখা হয়নি কখনো।


বদলে যাওয়া ভাবনাগুলো সব!
আবার পূর্ণ হলো শিউলি আর
বকুল তলার মতো ছড়ানো তুমিময়!
নিজেকে খুঁজেছি নতুন করে,
এক বিকেল রোদ্দুর নিয়ে মুঠোয়।


অন্যের স্বপ্নে বিভোর আমি!
ভুলেই ছিলাম আমিও উড়তে পারি,
মুক্ত বিহঙ্গের মতো দুর দিগন্তে,
ডায়েরির পাতায় পাতায়
আমার আঁকা স্বপ্নগুলো আজ
স্মৃতির ভাঁজে ভাঁজে রাখা
শুধু বুক ভরা নীল বেদনায়…….


এই অবেলায় হাজারটা ফাঁকে
বারবার খুঁজি ফিরি সেই আমিটাকে!
কোথায় আমি?
স্বপ্ন জোড়া ঠোঁটে বলতে চাই,
বাবা, আবার আমি শিখতে চাই
আকাশের বুকে রঙিন ঘুড়ি উড়তে!
দুর হতে দেখবো,
রাতের আকাশে জলজল করা
ঐ তারায় তোমার মুখ।