একুশ মানে আমার প্রিয় বাংলা বর্ণ
শহীদের রক্তে লেখা অ, আ, ক, খ,
গগনে জুড়ে ছড়িয়ে পড়া রূপালী হাসির ঝিলিক।


একুশ মানে মাতাল হাওয়ায় উড়া নবান্নের ঘ্রাণ
সবুজের মাঝে একটু উষ্ণতার পরশ,
শিমুল পলাশের যুগল বন্ধনের ঐকতান।


একুশ মানে বাংলার ঘরে ঘরে গল্পের বুনন শৈলী
আশাহত প্রাণের তৃষ্ণা মেটায় যে ভাষা,
পরতে পরতে গেঁথে আছে বর্ণমালার অক্ষর প্রতিটি।


একুশ মানে নির্যাতিত জননীর নিরব কান্নার ধ্বনি
বর্ণমালায় শতবার বিদীর্ণ সুরে বাজে,
স্থির হয়ে তবু কান পেতে শুনি।


একুশ মানে ষোড়শী যুবতীর অনন্ত প্রাণোচ্ছাস
রাখাল বালকের পাল নিয়ে মাঠে ছুটে চলা,
ঐ গভীরে লুকানো যেনো  বর্ণমালার নির্যাস।


একুশ মানে রফিক জব্বারের রক্তের ঋণ
সবার তরে বিলিয়ে দেয়া,
আগুন ঝরা কৃষ্ণচূড়া ফোটার দিন।


একুশ মানে কালো তিমির রাত্রির অবসান
মায়ের মুখে ভাষা ফিরিয়ে দেয়া,
আমার প্রিয় বর্ণমালার সহস্র কম্পন।