বহুকাল পর হঠাৎ দেখি আবারও
খুলে গেল স্মৃতির ঝাঁপি মন থেকে!
চারিদিক কেমন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে গেল শহরের অলিতে গলিতে,
ঘরের মেঝেতে, আঙিনায়,
এঘর ওঘরের বারান্দায় !
তবুও দেখি ঝাঁপি ভরা হাজারো স্মৃতিতে!


কতো নান্দনিক সাজে গোটা গোটা অক্ষরে সব স্মৃতি বোনা,
একটা একটা করে দুহাতে ভরে
দেখি সবটুকুন জুড়ে তুমি !


কই এতোকাল বয়ে বেড়ানো
স্মৃতির ভারে নুয়ে পরা ঝাঁপি
তবু শূন্য হলোনা এতটুকুও,
এই শহরের ক্লান্ত বিষন্ন দুপুরে,
অনাবৃষ্টির ঝড়ে কত ভিজিয়ে দিলে!
ঘুমন্ত ইট পাথরের শ্যাওলা ভেজা
দেয়ালে দেয়ালে যতো স্মৃতি লেখা, বড্ড মিয়্রমান সুখের ছায়ারা।
সেই আলো আধাঁরির আলোকগুচ্ছ
স্মৃতি ছেঁড়া সুখগুলোর নোনাজলে
রয়ে গেলে শুধু তুমি !


সেই রাতে দেখেছিলাম রূপালী স্মৃতি
জোছনাদের আলোয় করুণ সুর
বিধেঁছে বুকের গহীনে।
কবেই চেপে চুপে সব স্মৃতি ঝাঁপিতে
ভরে বেধেঁ রেখেছিলাম কখনো খুলবো না বলে,
আজ বহুকাল পর ঝাঁপি খুলে গেল!
এক মুঠো স্মৃতিকে আবারও অন্য আলোয় দেখা,
সেই আলোর শেষ বিন্দু পর্যন্ত যে
শুধুই তুমি !