আজ মানবতা কাঁদছে,
আহাজারি করে কাঁদছে  
আমার সহ্য হয় না মানবতার কান্নার,
মনে ইচ্ছে জাগে এর শেষ দেখার  
সেই মানবতার কান্নার কসম,
আমি কবি থেকে নিজের নাম মুছে ফেলতে চাই,
সন্ত্রাসী হতে চাই আমি, সন্ত্রাসী।
আমি দেখতে চাই কিভাবে নখ দিয়ে
আঁচড়ে খেয়ে ফেলে আমার বোনকে।
কিভাবে নারীর সম্মুখে জাহির করে নিজের পুরুষত্ব।
খাবলে খায় নারীর দেহ।
কানে ঢেলে রাখে গলিত সীসার স্তুপ
শুনতে পায় না আর্তচিৎকার।
কি নির্মম অত্যাচার?
সেই ধর্ষিতা নারীর আর্তচিৎকারের কসম
আমি কবি থেকে নিজের নাম মুছে ফেলতে চাই,
সন্ত্রাসী হতে চাই আমি, সন্ত্রাসী।
পতিতাবৃত্তির সেই নির্ঘুম রাতগুলো
আমি ধ্বংস করে দিতে চাই।
কি দোষ এই অবুঝ বালিকার?
প্রতি মুহুর্তে মৃত্যু যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে।
লোভী পুরুষ ভোগ করে তার দেহটাকে
নিজের ইচ্ছার সমাপ্তি না ঘটা পর্যন্ত।
সহ্য হয় না আমার,
বড় অসহায় লাগে নিজেকে,
সেই অবুঝ বালিকাদের আর্তনাদের কসম,
আমি কবি থেকে নিজের নাম মুছে ফেলতে চাই,
সন্ত্রাসী হতে চাই আমি, সন্ত্রাসী।
এই ভিটাগুলো এত নির্জন কেন?
এখানেও তো সূর্যের কড়া রশ্মি এসে পৌছাই।
জ্যোৎস্না আলোয় ঝলমল করে পরিবেশ।
উত্তর নেই কোন!
নিরবতার আঘাত সহ্য হয় না।
হয়তো একসময় এখানেও ছিলো সবই।
ছিলো হাসি আনন্দের পরিবেশ,
দূঃখ - বেদনা, কান্নার পরিবেশ।
কোথায় হারিয়ে গেলো সেগুলো?
চারপাশ সাদা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে,
জোনাকিরা এখানে এসে আর খেলা করে না।
এখানে আড্ডা বসে কিছু মদখোরের,
খেলা হয় কে বেশি মদ পান করতে পারে।
আফসোস তাদের জন্য, সব ভুল!
যারা নিজের করা ভুলগুলোকে ধরতে পারে না।
নিজেকে ধ্বংস করা সেই মদখোরের কসম,
আমি কবি থেকে নিজের নাম মুছে ফেলতে চাই,
সন্ত্রাসী হতে চাই আমি, সন্ত্রাসী।
কুকুরেরা ছিলে খাচ্ছে বেওয়ারিশের লাশ!
দেখার নেই কোনো মানুষ।
কেন তারা আজ পরিচয়হীন?
কি দোষ ছিলো তাদের?
তারা কি পৃথিবীতে এতটাই অযোগ্য?
কবরও জুটলো না তাদের কপালে।
কেন তারা এখানে পড়ে আছে?
অথচ তারা তো ছিলো জনপ্রিয়তার শীর্ষে,
লোকের মুখে মুখে ছিলো তাদের নাম।
তাদের প্রশংসায় মানুষ ছিলো পঞ্চমুখ।
তাদের দোষ ছিলো তারা প্রতিবাদ করেছে,
অন্যায় দেখে থমকে দাড়িয়েছে,
আঙুল তুলে গর্জে উঠেছে।
তাই তাদের মুখের কোনো ছবি নেই,
নেই পরিচয়ের ছিটেফোঁটা।
সেই বেওয়ারিশ লাশের কসম,
আমি কবি থেকে নিজের নাম মুছে ফেলতে চাই,
সন্ত্রাসী হতে চাই আমি, সন্ত্রাসী।