জনক  


মেঘদূতঃ এক মহাকাব্যের কথকতা।


নদ আর নদীর সংমিশ্রণে মেঘের ছোঁয়ায়
এসে মিশেছে অলকাপুরীর সে প্রেমকাব্য।  
জানি তো, তোমার পূর্বপুরুষ ছিলো
মধ্যযুগীয় কবি গীতগোবিন্দের জনক
জয়দেবের অজয় নদ পাড়ের বর্ধমানে,
অথবা, বলতে পারো এ যুগের
জাতীয় কবি নজরুলের বর্ধমানে;  
কিন্তু ভুলে যেও না সেখানে ছিলো,
সেন বংশের পতনের স্থান
ঝাড়খণ্ডের ত্রিকুটে ময়ূরাক্ষী নদী।  


সেই অজয় আর ময়ূরাক্ষী তীরে
অনিন্দ্যসুন্দর বর্ষায়  চতুর্থ শতকেই
এ মহকাব্যে লিখেন কবি কালিদাস;
কুবের, যক্ষ, প্রিয়ার আরশে
মেঘের ছাঁটের স্নিগ্ধতায় উদ্বেলিত চাতক!  
উজ্জয়নী, অবন্তি বা বিদিশার মুগ্ধতা
নীলকান্তমনি শোভিত পদ্মের কাণ্ড:
কি নেই সেখানে?
  
রবিঠাকুরের অজর বিশ্বভারতীতে,    
শুধু নেই আজ প্রেমের সফলতা।


হে একবিংশ শতক, দিয়েছো চরম বেগ
কেড়ে নিয়েছ তুমুল আবেগ।।