আবার ফিরে যে এলো
সন্তানের জন্মোৎসবের দিন
জনক-জননীরও প্রথম জন্মদিন।


পৌষের সেই সোমবারে পাওয়া
স্বর্ণালোকিত অজস্র সন্মান,
শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ
ভালো মন্দ মিলায়ে জীবন বহমান।


সপ্তদশ জন্মদিনের ডালি
আজ সেই উষ্ণ উজ্জ্বয়িনীপুরে।
দূরে বহুদূরে রই তব
একাকী শৈত্যতাপের ভীরে..
ডালের বড়ি শুকিয়ে,
খোকার অপেক্ষার প্রহর তীরে।


রুদ্ধদ্বারে শীত শেষে,
আবার ফুটবে ফুল;
মায়ার তরে রয় যে দোয়াঃ
হেনকালে পুস্পবীথিকার ছায়া,
এ বিষাদে যেন না পরে
ঊননার্ভের ঝুল!


বাজে না স্মৃতির ব্যথা
অরণ্যের মর্মরে যথাতথা।
বিধাতার সৃষ্টিসীমায় সেই
দৃষ্টির অন্তরাল কথা।
ক্ষণভঙ্গুর কালের চাকা
বয়ে এনেছে যে দান,
প্রতিনিয়ত অপেক্ষমান
সেই সম্মানের প্রতিদান।


ক্ষুদ্র লুব্ধ ধূলি যে
আজ বিরাটাকার;
কি করে এড়াবে
সে ঝঞ্ঝার উদ্যোম
আর ঝর্ণার ঝঙ্কার!