কপালকুন্ডলার পূর্ব ও উত্তর পথ


পথ হারানো নবকুমারকে পথ দেখিয়ে
নিজেই সে পথ হারালো
তেতাল্লিশ বছর কেটে গেল, কথা রাখেনি কেউ
নিঃশ্বাসের আতঙ্কেরা খুটি গেড়ে মনের অন্তহীণে
বিশ্বাসের আশ্বাসে আর পা মারায় না কারো গহীণে


কোথাও সাম্য ছিলো না তার কথা ও কর্মে
কারো সিথিঁর সিদুঁরের বিনিময়ে
নাহয় বাচুঁক যে কোনো ধর্মে
বেচেঁ থাকুক নিজেরই রচা মনো-কারাগারে!
সাম্রাজ্যবাদীতার ভীড়ে হাড়িয়েছে যে বিবেক,
অপরাধ তো ছিল তারও অর্ধেক!
তবে কেন নারীরা হয় একা ভুক্তভোগী
একদা তো ভালোবেসেছিলো সে অনুরাগী।


মৃত্যু সিন্ধু সন্তরণ, সেই বজ্রঘোষবাণী
বেড়িয়ে যাও' ছিল যে, বড়ই হৃদয়বিদারী
কোথায় যাবে,মরবে নাকি বাচঁবে স্বসন্তানে
কোনো সমাধান না করে কুমার পালালো প্রবাসে
তার অপেক্ষায় থেকে অর্ধযুগ পরে কপাল পেলো ত্যাগ পত্র!


ক্রমান্বয়ে অতীত ইতিহাস হয় বর্তমান।


কর্মক্ষেত্র থেকে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে ফিরে
সন্তান, বাজার-রান্না,কুটা বাটা, ঘরদোর পরিস্কার
নিত্যনৈমিত্তিক যৌথ কাজ একাই সামালে দূর্গা,
নারী বলে নিজেকে বছরে একডজন বার করে আবিস্কার!


হে বিধাতা! হে প্রকৃতি ও পৃথিবী!  
নারীকে করেছো শুভ সুন্দরী, ফাতেমা, মেরী, সীতা
সরস্বতী তেজশ্বিণী বিনাশিনী এমন কি মাদার তেরেসা
ত্যাগের মধ্যে ক'জন করেছে একা থাকার দূরাশা?
মধ্যবিত্ত জীবন তো গলায় দড়িটানা এক জীবন্ত লাশ,
রয়ে যায় অপ্রাপ্তি আর রঙ্গীন স্বপ্নের অদম্য আশ।
তবুও ভালোবাসো হতে কপালকুন্ডলা,
যেখানে পথ দেখানোই তার দায় ;
হে নারী, এগোও। হৃদয় খুড়ে পূর্ব বেদনায় দিও না গো সায়।