সহস্র বছর পৃথিবীতে উলাঙ্গাবস্হায় বসবাস
একদা মানুষ করলো কাপড়ের আবিস্কার
এলো ধর্মের বিভাজন, সমাজ সভ্যতার হাহাকার
তারো পরে বিধাতা করলেন পর্দা প্রথার আবিস্কার


নারীর হাতের চুড়ি, পায়ের নুপুর
আদিম শৃঙ্খলার বিবর্তিত রূপ।
ইতিহাস বলে,
কৃষি বা যুদ্ধে অর্জিত সম্পদের উত্তরাধিকারে
পিতৃত্ব নির্ণয়ের প্রয়োজনে
স্বসন্তান নিশ্চিত করার স্বার্থে; স্ব-নারী নির্ণয়ে
সভ্যতার শৃঙ্খলায় বিবাহ প্রথার প্রবর্তন।


সেখানেও রয় নীতির অসামন্জস্যতা
পুরুষের একাধিক বিবাহ বিধান
বা,শস্যক্ষেত্র হিসেবে যথেচ্ছ চাষাবাদ সুবিধা
বহন করে তারই প্রমাণ।


কালে কালে আসে পর্দাপ্রথা....


ঋগ্বেদ, বাইবেল, কোরআনও পর্দাপ্রথায় সতর্ক
বিশ্বেও চলে নারীর পর্দাপ্রথায় নানান বিতর্ক
অনেক দেশে আইন করে হচ্ছে পর্দাপ্রথা বন্ধ;
অন্ধত্ব নয় কোনো সমস্যার সমাধান,
মানসিকতা পরিবর্তনে আনো পরিত্রান।
নিজেকে করোনা খাচাঁয় বন্দী কোনো পাগলা কুকুরের ভয়ে,
করো বন্দী সেই পাগলা কুকুরকে নির্ভয়ে।
পড়ো শালীণ শোভণ বস্ত্র নারীপুরুষ নির্বিশেষে,
তবে হবে বন্ধ সুরাসুর নিমেষে।


দীপ্ত স্বপ্ন মহিমা গর্ভে নিয়ে চলমান
হাজার বছরের পথে এখনও উল্কাপাত;
পারেনা কোনো হাতিয়ার কোনো বস্ত্র
যা মানুষকে  দেয় অসাম্যের মন্ত্র।