পলায়নের প্রভাব


এত এত বসন্ত
হলো অতিক্রান্ত;
তবু বুঝলাম না,
সময়ের কেমন ঘোর;
হয়তো আগেই প্রয়োজন
ছিলো হওয়া স্বার্থপর!


এ কঠিন করোনাকালে
হয় বড় আফসোসঃ
সসন্তানে মোর নেই
খানিক আবাস আশ্রয়,
নেই এক মুঠো খাদ্য সাশ্রয়!
কি রেখেছি প্রজন্মের তরে'
সে ভাবনায় মরতেও পাই ভয়।


নিজের কেমন গুছালে;
সেখানে প্রথমটায়
তোমার হলো শিক্ষা,
দ্বিতীয় টায় হলো চলার পরীক্ষা;
আর তৃতীয়তে চলছে ফলাফল।


কে হাসলো কাদঁলো তাতে
তোমার কিছু যায় আসে না;
পরিবর্তনই সুখ' এ বদ্ধ ধারনা
তুমি কোথায় পেলে জানিনা।


আমি শুধু কান পেতে রই,
অব্যবস্হায় তোমার পড়ুক নজর
নিরন্তর অপেক্ষা যে বছর বছর!


অবাক করা বধোদয়ের অভাব।
কেমন ঝুলন্ত শেকর মনোভাব
স্বপ্নেই ডুবে ডু্বে খাই জল!
কাগুজে স্বাধীনতা দিলেও,
রই পরাধীনতায় অতল।


মনে হয়,
জুঁইএর চেয়ে জেসমিনের
গন্ধই বেশি ভালো।
কি পছন্দ তোমার?
শিউলী না শেফালী?
লাউ না কদু? সে প্রশ্নে
আজ আর আমি যাবো না।
তোমার পছন্দে আর
আমার কিছু যায় আসে না।


মুক্তিরও মন্দির সোপানে
জীবন বলিদানে পূজারী
ক্লান্ত শ্রান্ত অবসান্ত।


ওহে নির্বোধ!
বোধ থাকলে তো করতে
নিঃস্বার্থতার মূল্যায়ন!
আর কতকাল সইবো
তোমার পলায়ন?