আমি সেই শতাব্দী কুহকিনীর অপেক্ষায়/ নিরঞ্জন রায়


আমি সাগর দেখিনি শতাব্দী কুহকিনী
তোমাকে দেখেছি
নীল জলরাশি কেমন খেলা করে তোমার ভেতর
জলোচ্ছ্বাসে ডুবিয়ে দেয় বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর  
উড়ন্ত ঢেউ এসে ভাসিয়ে নেয় আমার সত্তাকে,
জমিন ঘরবাড়ি বাদ যায় না কিছুই---
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বনাসিক্ত করে মাতাল জলরাশি
ভুলিয়ে রাখে আমার সর্বনাশ।


আমি পাহাড় দেখিনি কুহকিনী শতাব্দী
তোমাকে দেখেছি
স্তরে স্তরে পুঞ্জীভূত রক্ত মাংসের ব্লক  কীভাবে জোড়া পাহাড় তৈরি করে বুকের ভেতর
তীক্ষ্ম চূড়া ধরে যাওয়া যায় অমরাবতিতে  
লুকিয়ে থাকা ঝরনাজল ঘিরে অজুত সম্ভাবনা।
চিরহরিৎ গহীন বনের ভেতর গায়ক পাখিরা কীভাবে খেলা করে
দোলের চাঁদ গায়ে এসে লুটোপুটি খায়
কত অজানা কামদেব তোমার স্বপ্নে উন্নাসিক, গৃহহীন হয়ে যায়।