( S. W. Goode তাঁর Municipal Calcutta নামক একটি গ্রন্থে ১৯১৬ সালে লেখেন জনৈক বাবু বিশ্বনাথ মতিলাল কর্পোরেশনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এই মর্মে যে দিনের বেলায় যেন কোনো মেথরকে রাস্তায় না দেখা যায়।  সেই মহান যুগে রাতের অন্ধকারে আমাদের টাট্টি যারা মাথায় করে নিয়ে যেত তাদের বলা হতো মেথর।)


ওরা গভীর রাতে বাদুড়ের মতো
নিঃশব্দে বেরিয়ে
অস্তিত্বের অতি কম্পিত শব্দে
বাড়ি চিনে চিনে
খিড়কি দিয়ে ঢোকে
তখন গৃহস্বামী সপরিবারে  ঘুমের দেশে


সকালে সব সাফা।
মনুষ্য বর্জ্যের মতো
নিজেরাও মিলিয়ে যায়
সূর্য ওঠার সাথে।


এহেন অন্ধকারের প্রাণী
দিনের আলোয় রাস্তায় দেখলে ?


তাই বাবু বিশ্বনাথ মতিলাল
ভীষণ রেগেমেগে
বেশ কড়া করে দিলেন
এক নালিশ ঠুকে
সে কি জব্বর লেখা
পড়ে সাহেবেরই চক্ষু চড়কগাছ
In language more forcible than polite


।। ওঁ শ্রী বিষ্ণু সহায় ।।
মহামান্য আধিকারিক সমীপে
যথাবিহিত সম্মান পুরসর
সময়োচিত নিবেদন মিদং


যে সমস্ত প্রাণীদিগের
রাতের অন্ধকারে
আমাদিগের ত্যাগ করা বিষ্ঠা
আপন মস্তকে বহনপূৰ্বক
সাফাই সমাধা করিবার কথা,
সম্প্রতি তাহাদিগের
প্রকাশ্য দিবালোকে
যত্রতত্র বিরাজ করিতে
দেখা যাইতেছে।
মহাশয়, আশা করি অবগত আছেন
উক্ত প্রাণীদিগের মস্তকে
মৃত্তিকা পাত্র দর্শন মাত্র
কোনো ভদ্রমহোদয়,
যিনি সদ্য ভোজন সমাপনান্তে
আপন কর্তব্য কর্মে
গৃহ হইতে নির্গত হইয়াছেন
তাঁহার কিরূপ চিত্তবৈকল্য
ও শারীরিক বিকার সম্ভব।
এ মর্মে তাই
অধীনের একান্ত নিবেদন
উপরোক্ত অনাচার
অনতিবিলম্বে বন্ধ করার নিমিত্তে
প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধিত করিবেন


ইতি---
আপনার চিরানুগত
শ্রী বিশ্বনাথ মতিলাল


কিন্তু অঘটন আজও ঘটে
কি করে কে জানে
ওরাও একদিন জানতে পেরে যায়
এ শহরকে নরক অথবা স্বর্গ বানাবার
একচ্ছত্র অধিকার
শুধু ওদেরই হস্তগত


ওরা হাত গুটিয়ে নিলে
সারা শহর হয়ে যায় নরক
ওদেরই হাতের ছোঁয়ায়
শোভা পায় নগর


ওরা জানতে পেরে যায়


বাবুরা বড় অসহায় বোধ করেন তখন