বয়োজ্যেষ্ঠ বললেন,
আমার বাড়ির ছাদটা ফুটো হয়ে গিয়েছিল
যে রাজমিস্ত্রি সারিয়ে দিয়েছিল
সে দেখি আজ সকালে হাজির।


কনিষ্ঠ গল্পের আশায় চৌকির উপর
বেশ জাঁকিয়ে বসে
সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বললেন,
তারপর কি হলো দাদা ?


জ্যেষ্ঠ বললেন,
আরে লোকটা দেখি
ব্যাগ থেকে একটা বোতল
আর এক ঠোঙা পিঁয়াজি বার করে
ঐখানে বসে পড়ে বলল,
স্যার, সকালে জানতাম না আপনি কে
এখন লোকমুখে জেনেছি আপনি কে
অতএব আসুন এক পাত্তর হয়ে যাক !


কনিষ্ঠ বললেন ,
আপনি কে দাদা ?


জ্যেষ্ঠ বললেন,
আমিও সেটাই জিজ্ঞেস করলাম,
আমি কে ভাই ?
লোকটা বলল,
আমি জানি, অনেকেই বলেছে,
আপনি সত্যের পথ দেখান
অতএব আসুন
হয়ে যাক এক পাত্তর


কনিষ্ঠর চোখে ঝিকমিক করছে কৌতুক


জ্যেষ্ঠ বললেন,
বুঝলে ভায়া বোতল শেষ করে
যখন বেশ মৌতাত হয়েছে
লোকটা বললো
এবার উঠুন,  আমাকে নিয়ে চলুন !
বললাম, কোথায় ?
লোকটা বলল,
কেন সত্যের পথে !


কনিষ্ঠ অবাক চোখে তাকালেন
এবার জ্যেষ্ঠর চোখে ঝিলিক দিল কৌতুক


জ্যেষ্ঠ বললেন,
তোমার কি মনে হয় না
কবি আসলে একটা গাছ !
সে তো কোথাও কাউকে নিয়ে যেতে পারে না
শুধু তার শাখায় শাখায় পাতায় পাতায়
আন্দোলন জাগে
তার ঝরে পড়া পাতায় জাগে মর্মর ধ্বনি !


জ্যেষ্ঠ পকেট থেকে বার করলেন
সদ্য লেখা এক অসমাপ্ত কবিতা---


দিনের শেষে একটা মাঠ
ক্লান্ত এক রাখালকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোচ্ছিল।
হঠাৎ কোথা থেকে হই হই করে ছুটে এল
যুবক যুবতীর দল
মাঠটা কেঁপে উঠলো
রাখাল ঘুম ভেঙে ধড়মড় করে উঠে বসলো
তারপর সারারাত ধরে চললো উৎসব।


পরদিন সকালবেলা কেউ কেউ শুনতে পেল
মাঠের সবুজ ঘাসেদের গলায় ফিস ফিস আওয়াজ !