ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত /৩


  


               ।।১৩।।


কলকাতায় পরিযায়ী পাখি নয়
রাস্তার রেলিং এর ওপর
ভুটান থেকে
লাল নীল সোয়েটার এসে বসে।


                     ।।১৪।।


জীবনদীপের *  ছায়াটার
মাথায় একটু ছিট আছে।
অফিস টাইমে  সারা বছর
ভয়ের চোটে
রাস্তা পেরোতে পারে না।
তারপর শীত এলে ,
কি হয় কে জানে
সারা রাস্তা জুড়ে
লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে !


( * জীবনদীপ কলকাতার একটি অভিজাত হাই রাইস, যেখানে অনেক বড় বড় অফিস আছে।)


              ।।১৫।।


আগুন ঝরা দুপুর
ডালহাউসি মিনিবাস স্ট্র্যান্ড
সব সিট ভর্তি তবু
হাওড়া খালি হাঁকে
স্টার্ট দেওয়া ইঞ্জিন
রেগে গিয়ে ফোঁসে
পেটে পুরে নেবে বলে
পাসেঞ্জার খোঁজে
এখনো পেটটা  কেমন
খালি খালি লাগে।


             ।।১৬।।


ডাক পাখির অন্তহীন
কুব কুব কুব কুব
পুকুরের ওপর নুয়ে পড়া
আমি গাছের ডাল,
এমনি এমনি মন খারাপের
নিদাঘ দুপুর,
সব ছেড়ে গেছে
শুধু বুড়ো বয়সের
ছেলেবেলা টুকু নাছোড়।


            ।।১৭।।


ফেরি ঘাট ছেড়ে বোট
মাঝ গাঙে এলে
বিনা টিকিটের চিল
মাস্তুলে বসে।
না উড়েই দিব্যি চোখ রাখে গাঙে
শ্রম চুরি শিখে গেছে মানুষের কাছে।


            ।।১৮।।


জলের ওপরে জাল পেতেছে জেলে
গাছের ডালে মেছো বকটার খিদে।
বোকার মতো ছোঁ মারতে গিয়ে
জালের মধ্যে পা আটকে ঝোলে।
দুমাস পরে তার সঙ্গে দেখা
খিদের মূর্তি কঙ্কাল হয়ে ঝোলে।